হাতি আর শিয়ালের গল্প
৯. প্রশ্ন: অহংকারী ও অত্যাচারীর পরিণাম শেষ পর্যন্ত কী হয়?
উত্তর: সবাই জানে ‘অহংকার পতনের মূল’। অত্যাচারীর পরিণামও হয়ে থাকে ভয়াবহ। অহংকারী ও অত্যাচারীকে কেউ পছন্দ করে না। তার বিপদে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’ থেকে এ কথাগুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
গল্পের হাতিটা ছিল বিশাল দেহের অধিকারী। শক্তিও ছিল প্রচণ্ড। এই শরীর আর শক্তি নিয়ে তার যত অহংকার। বনের পশুদের ওপর তার অত্যাচারও ছিল নজিরবিহীন। নিরীহ প্রাণীদের শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলা কিংবা পায়ের তলায় পিষে ফেলা তার প্রতিদিনের কাজ ছিল। হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে বনের সব প্রাণী। একসময় বনের পশুরা এই অত্যাচারের প্রতিকার করার জন্য পরামর্শ করে।
সিদ্ধান্ত অনুসারে শিয়াল কৌশলে হাতিকে নদীতে ডুবিয়ে শাস্তি দেয়।
কাজেই বলা যায়, অহংকারী ও অত্যাচারী সাময়িক সুবিধা ভোগ করলেও শেষ পর্যন্ত তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।
১০. প্রশ্ন: অনেক দিন আগে মানুষ কী শিখছিল?
উত্তর: অনেক অনেক দিন আগে পরিবেশ এতটা উন্নত ছিল না। সুন্দর সবুজ বন, ঝোপঝাড় আর দিগন্তে ঝুঁকে পড়া নীল আকাশের ছোঁয়ায় পরিবেশ ছিল ভিন্ন রকম আমেজে ভরা। সেই সময়ের দিনগুলোতে বনে বনে ছিল পশুদের রাজত্ব। হাজার রকমের প্রাণী আর অসংখ্য পাখপাখালি ভরা ছিল বনজঙ্গল। লোকালয়ে বসবাসকারী মানুষ তখন একটু একটু করে সভ্য হচ্ছিল আর শিখছিল কী করে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকা যায় সেসব কায়দা-কানুন।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা