[এর আগের প্রকাশিত লেখা: নাম বিশেষণ ও ক্রিয়া]
প্রশ্ন: আবেগ শব্দ কাকে বলে? উদাহরণসহ এর শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
উত্তর: কোনো পদের সঙ্গে সম্বন্ধ না রেখে যে শব্দ মনের ভাব প্রকাশে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে আবেগ শব্দ বলে। যেমন: মেয়েটির কী কষ্ট!
ভাব প্রকাশের দিক থেকে আবেগ শব্দকে আটটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
ক. বিস্ময়সূচক আবেগ: যে ধরনের আবেগ শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার মনোভাব প্রকাশ করে, তাকে বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: আরে! তুমি আবার কখন এলে?
খ. প্রশংসাবাচক বাক্য: যেসব আবেগ শব্দে প্রশংসার মনোভাব প্রকাশ পায়, তাকে প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: বাহ! রান্নাটি খুব সুস্বাদু হয়েছে।
গ. বিরক্তিবাচক শব্দ: যে শব্দ দ্বারা অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়, সেসব শব্দকে বিরক্তিবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: ছি! এমন কাজটি তুমি করতে পারলে।
ঘ. সিদ্ধান্তবাচক আবেগ শব্দ: যেসব আবেগ শব্দ দ্বারা অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয়, যেসব শব্দকে বলা হয় সিদ্ধান্তবাচক আবেগ শব্দ। যেমন: বেশ, তোমার কথাই মানলাম।
ঙ. ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ: যে আবেগমূলক শব্দ দ্বারা আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ পায়, সেসব শব্দকে ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: না, এ কষ্ট অসহ্য।
চ. করুণাবাচক শব্দ: যে শব্দ দ্বারা করুণা বা সহানুভূতিমূলক মনোভাব প্রকাশ পায়, সেসব শব্দকে করুণাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: আহা! মেয়েটির মা-বাবা কেউ নেই।
ছ. সম্বোধনবাচক আবেগ শব্দ: এ ধরনের আবেগ শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ‘ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।’
জ. আলংকারিক আবেগ শব্দ: যে শব্দ দ্বারা ভাষার আলংকারিক সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, তাকে আলংকারিক আবেগ শব্দ বলে। যেমন: দুর পাগল, এসব নিয়ে এত ভাবতে নেই।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা