কমনওয়েলথ দিচ্ছে ফেলোশিপ, মাসে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা
যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন প্রতিবছর নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য কমনওয়েলথ প্রফেশনাল ফেলোশিপের ঘোষণা দেয়। এ বছরেরটাও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন এ ফেলোশিপের জন্য। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাগত উন্নয়নে কাজ করতে হবে ফেলোদের। কমনওয়েলথভুক্ত দেশের আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এ ফেলোশিপের জন্য।
আর্থিক যে সুবিধা মিলবে এ ফেলোশিপে-
যুক্তরাজ্যে যাওয়া ও নিজ দেশে আসার উড়োজাহাজ টিকিট;
ভিসা প্রসেসিং ফির সুবিধা;
লিভিং অ্যালাউন্স হিসেবে মাসে মিলবে ২ হাজার ৫৭ ব্রিটিশ পাউন্ড (৩ লাখ ১০ হাজার ৪০৮ টাকা, ১ পাউন্ড সমান ১৫০ টাকা ৯০ পয়সা ধরে)। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন এলাকায় থাকলে মাসে মিলবে ২ হাজার ৫৫৩ ব্রিটিশ পাউন্ড।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ভাতা বাবদ মিলবে ১১৫৬.৬০ পাউন্ড;
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংস্থায় যাওয়া ও সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৩,০০০ পাউন্ড পাবেন কেউ এ ফেলোশিপ পেলে।
আবেদনের যোগ্যতা-
প্রার্থীকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের স্থায়ী নাগরিক অথবা শরণার্থী মর্যাদার হতে হবে;
আবেদনের সময় চাকরিরত অবস্থায় থাকতে হবে, যেন ফেলোশিপ শেষে আগের প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেন;
নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের দুজন ব্যক্তির নাম রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করতে হবে;
স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে;
অন্তত ৫ বছরের ফুলটাইম/পার্টটাইম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
আবেদনকারীর পাসপোর্ট/ছবিযুক্ত ন্যাশনাল আইডি কার্ড;
আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত;
একাডেমিক পেপারস;
ফেলোশিপ আবেদন ফরম;
পার্সোনাল স্টেটমেন্ট;
রেফারেন্স লেটার তিনটি (এর মধ্যে একটি অবশ্যই প্রার্থীর বর্তমান নিয়োগকর্তার হতে হবে);
চারটি অংশে একটি উন্নয়ন ইমপ্যাক্ট স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে;
অন্যান্য কাগজপত্র (যদি থাকে)।
আবেদন যেভাবে করবেন
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পদ্ধতি, আবেদনের বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।