প্রবাসী কর্মীদের একাদশ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানেরা পাবেন বৃত্তি, করুন আবেদন

বৃত্তি

প্রবাসী কর্মীর ২০২৪ সালের এসএসসি এবং ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পাস করা সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেবে সরকার। এ জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তান যারা ২০২৪ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ/সমমান অথবা ডিপ্লোমা কোর্সে (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত এবং ২০২৩ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজে (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত, তাঁদের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে অনলাইনে দরখাস্ত আহ্বান করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন

কোন প্রবাসী কর্মীর সন্তানেরা আবেদন করতে পারবেন—

ক.

বিএমইটির ডেটাবেজের মাধ্যমে বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণকারী অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ গ্রহণকারী প্রবাসী কর্মীর সন্তান;
খ.

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আর্থিক অনুদান পেয়েছেন বা পাবেন, এমন মৃত প্রবাসী কর্মীর সন্তান;
গ.

২০২৪ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ–৫.০০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৪.৭৫ পেতে হবে। আর ২০২৩ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ৪.৮০ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৪.৫০ থাকতে হবে। তবে প্রবাসে মৃত কর্মীর সন্তান উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেলেই আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। এসএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দুই বছর ও ডিপ্লোমা শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের জন্য চার বছর বৃত্তি দেওয়া হবে।

এইচএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ে তিন বছর, স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে চার বছর ও মেডিকেলের জন্য বৃত্তি দেওয়া হবে পাঁচ বছর। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সেশনজট বিবেচনায় আনা হবে না।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য www.wewb.gov.bd অথবা http://stipen.wewb.gov.bd/stipend লিংকে ভিজিট করুন।

আরও পড়ুন

শর্তাগুলো হলো—

ক.

শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর এবং মাতা/পিতা/অভিভাবকের মোবাইল নম্বর অবশ্যই আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
খ.

প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্টে উল্লিখিত নামের সাথে আবেদনকারীর সনদে উল্লিখিত পিতা/মাতার নামের গরমিল পরিলক্ষিত হলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ.

শিক্ষাবৃত্তির আবেদন শুধু অনলাইনে করতে হবে, সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
ঘ.

অসম্পূর্ণ এবং ভুল তথ্য প্রদানকৃত আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং বৃত্তি প্রদান–সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আবেদনের সময়সীমা

২৫ নভেম্বর হতে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।