২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

১৩ দিনের মাথায় পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে সমন্বয় কমিটি বাতিল

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ফাইল ছবি

বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি ১৩ দিনের মাথায় বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে ১০ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম (বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান, সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী, সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান, গবেষক রাখাল রাহা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান (সদস্যসচিব)।

ওই কমিটি গঠনের পর পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কমপক্ষে দুজন আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দাবি তোলে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠন। এ ছাড়া কমিটি থেকে দুজন সদস্যকে বাদ দেওয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে ধর্মভিত্তিক একাধিক সংগঠন।

কমিটি বাতিলের বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। উচ্চশিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক শাখার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, কারণটা জানেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কমিটি বাতিল করেছেন ।

এদিকে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকবৃন্দ’-এর ব্যানারে শাহবাগে সমাবেশ করে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নতজানু নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে সমাবেশে বক্তারা মন্তব্য করেন।