২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঢাবির শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে: উপাচার্য

শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করছেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। রোববার সকালে, কলাভবনেছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। আজ রোববার সকালে কলাভবনে পরীক্ষাকেন্দ্র ও শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। তবে প্রথম দিনে সব বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।

৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ অক্টোবর (আজ) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে। সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরও বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলো চাইলে অনলাইনে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস নিতে পারবে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সশরীর ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলো।
ঠিক কয়টি বিভাগ-ইনস্টিটিউটে আজ ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তা জানা যায়নি। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চিরচেনা ভিড়ও এদিন দেখা যায়নি। সকালে কলাভবনের পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের একটি বর্ষের পরীক্ষা হয়। ক্লাস হয় বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ বিভিন্ন অনুষদের কয়েকটি বিভাগে।

আজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। কলাভবনে শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের পর সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী করোনার অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন। সশরীর পাঠদান ও পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলো। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত ক্ষতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে।

ক্ষতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরীক্ষাসহ সেমিস্টার ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাসে ও বার্ষিক কোর্স ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাসে সম্পন্ন করা হবে। পাঠ্যসূচি কমানো হবে না, তবে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। প্রয়োজনে শনিবারও ক্লাস নেওয়া যাবে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎ ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ছয় সপ্তাহ ও বার্ষিক পদ্ধতিতে আট সপ্তাহের বেশি সময় নেওয়া যাবে না।