এসএসসিতে ২৪ ও এইচএসসিতে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে শিক্ষার্থীরা
এইচএসসির অ্যাসাইনমেন্ট ২৬ জুলাই শুরু। শিক্ষার্থীদের ১৫ সপ্তাহে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। প্রতি পত্রে পাঁচটি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। সপ্তাহে দিতে হবে দুটি অ্যাসাইনমেন্ট
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা সব বিষয়ে না নিয়ে কেবল গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ে নেওয়া হবে। এই বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি শেষ করা হবে অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে। এর মধ্যে এসএসসিতে মোট ২৪টি ও এইচএসসিতে ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
আজ বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনো পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির অলোকে গ্রুপভিত্তিক শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় হচ্ছে এসএসসি ও সমমান এ বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ।
বাংলা, ইংরেজিসহ আবশ্যিক বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে না। আবশ্যিক বিষয়ের নম্বর জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে নম্বর নির্ধারণ হবে। শুধু নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিবেচনায় ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির (সিলেবাস) ভিত্তিতে যথাক্রমে ৬০ দিন এবং ৮৪ দিন শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার বর্তমান মহামারির বিবেচনায় গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে এসএসসি ও সমমানের অ্যাসাইনমেন্ট ১৮ জুলাই থেকে দেওয়া শুরু হবে। ১২টি সপ্তাহে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তিনটি নৈর্বাচনিক বা নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে মোট ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে মোট আটটি করে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করো হবে।
এ ছাড়া এইচএসসি ও সমমানের অ্যাসাইনমেন্ট ২৬ জুলাই শুরু হবে। ওই স্তরের শিক্ষার্থীদের ১৫ সপ্তাহে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তাদেরও গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে মোট ছয়টি পত্রে (প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র) এই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। প্রতি পত্রে পাঁচটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। তাদেরও সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এভাবে তাদেরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পন্ন করা হবে।
বাংলা, ইংরেজিসহ আবশ্যিক বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে না শিক্ষার্থীদের। আবশ্যিক বিষয়ের নম্বর জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে নম্বর নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ শুধু নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে অ্যাসাইনমেন্ট ও ‘বিষয় ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে অথবা শুধু ‘বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে’ মূল্যায়ন হতে পারে। সেটি পরে জানানো হবে। তিনি মনোযোগ দিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে শিক্ষণ ফল অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।