ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম বন্ধ
বুলগেরিয়ার দুই মিশনে ভিসা আবেদনের অনুমতি পেলেন ৮৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় বুলগেরিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। বুলগেরিয়ার হ্যানয় এবং জাকার্তার দূতাবাসে মোট ৮৬ শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনের অনুমতি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজের এক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পোস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুলগেরিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী ৮৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সহায়তার অনুরোধ পেয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় সাক্ষাৎকারের জন্য নয়াদিল্লিতে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে উপস্থিত হতে পারেননি তাঁরা। এমন পরিস্থিতেতে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বুলগেরিয়ান দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, এমন শিক্ষার্থীদের দুটি তালিকা পাঠিয়েছে।
বিপরীতে বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধার্থে হ্যানয় ও জাকার্তায় বুলগেরিয়ার দূতাবাসগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বুলগেরিয়া পরামর্শ দিয়েছে যে শুধু সম্পূর্ণ নথি গ্রহণ করা হবে। বুলগেরিয়া প্রয়োজনীয় অনুবাদ, বৈধকরণসহ অন্যান্য কার্যক্রম প্রদান করবে।
তালিকা অনুযায়ী এবং যথাযথ নথিপত্রসহ ভিসা সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে বুলগেরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও কাজাখস্তানে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মেডিকেল ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য ক্যাটাগরিতে ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত।
গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র (আইভিএসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থীই বিপাকে পড়েছেন। পর্তুগাল, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। তাই এসব দেশে পড়তে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের নিকটবর্তী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসা সাক্ষাৎকার দিতে হয়।
প্রতি শিক্ষাবর্ষে হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী এসব দেশে পড়তে যান। বরাবরের মতো এ বছরও বহু শিক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ভারতের ভিসা না থাকায় তাঁরা নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে পারছেন না। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।