আমেরিকায় পড়াশোনার খরচ মেটাতে বেবিসিটারের কাজও করছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা
বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে পকেট–মানি ও নিজেদের খরচ জোগাতে রেস্তোরাঁ, সুপারমার্কেটসহ নানা কাজ করেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। মূলত বাড়তি খরচ মেটাতেই খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে এমনটা করেন শিক্ষার্থীরা। যদিও আমেরিকান নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনেক শিক্ষার্থীকেই তাঁদের খরচ মেটানোর জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে খণ্ডকালীন চাকরি করতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমান বাজারে এ ধরনের চাকরি পাওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীই এখন বেবিসিটার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
নিজেদের খরচ মেটাতে ভারত থেকে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাহায্য নিচ্ছেন। তাঁদের বাড়িতে বেবিসিটার হিসেবে কাজ করছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। মেয়েরাই কাজটি বেশি করছেন। এ কাজের জন্য প্রতি ঘণ্টায় আয় ১৩ থেকে ১৮ ডলার। পাশাপাশি এই পরিবারগুলোর সঙ্গে তাঁরা সেখানে থাকা-খাওয়ার সুবিধাও পাচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ ও ভারতের অন্য শহরের শিক্ষার্থীরা এ কাজটি বেশি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো ও ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে বার্ষিক ওপেন ডোরস রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও প্রি-একাডেমিক ইনটেনসিভ ইংলিশ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নথিভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের বার্ষিক ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, টেক্সাসে প্রায় ৩৯ হাজার, ইলিনয়ে ২০ হাজার, ওহাইওয়ে ১৩ হাজার ৫০০ ও কানেকটিকাটে ৭ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী আছেন। এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশের। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী বলেছেন, তাঁরা খরচ মেটাতে বেবিসিটারের কাজ করছেন।
ওহাইওয়ে পড়াশোনা করা হায়দরাবাদের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমি প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা করে একটি ছয় বছর বয়সী শিশুর যত্ন নিই। প্রতি ঘণ্টায় ১৩ ডলার করে বেতন পাই।’ তিনি আরও বলেন, স্থানীয় দোকানে বা গ্যাস স্টেশনে কাজ করার চেয়ে এ কাজটি অনেক ভালো। কানেকটিকাটে পড়াশোনা করা আরও এক ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি বেবিসিটার হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ১০ ডলার পান, তবে তাঁর নিয়োগকর্তা তাঁকে খাবার ও থাকার সুবিধাও দেন। ২৩ বছর বয়সী ছাত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাকে সপ্তাহে ছয় দিন আড়াই বছরের বাচ্চা মেয়ের যত্ন নিতে হয়। ওই ছয় দিন মেয়েটির মা-বাবা আমার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রোববার আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে থাকি।’ আমেরিকায় ভাড়া বাবদ প্রায় ৩০০ ডলার খরচ হয় শিক্ষার্থীদের। সেখানে বেবিসিটারের কাজ করলে ভাড়ার টাকাও বাঁচে। তাই এই কাজে বেশ খুশিই শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীরা এটাও জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক ও ইলিনয়ের মতো স্টেটে অনেক ভারতীয় বাস করেন। তবে সেখানে বেবিসিটাররা কম বেতন পান। কারণ, এই এলাকাগুলোয় চাকরির চেয়ে বেশি বেবিসিটার রয়েছেন।বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে পকেট–মানি ও নিজেদের খরচ জোগাতে রেস্তোরাঁ, সুপারমার্কেটসহ নানা কাজ করেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। মূলত বাড়তি খরচ মেটাতেই খণ্ডকালীন কর্মী হিসেবে এমনটা করেন শিক্ষার্থীরা। যদিও আমেরিকান নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনেক শিক্ষার্থীকেই তাঁদের খরচ মেটানোর জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে খণ্ডকালীন চাকরি করতে দেখা যায়। কিন্তু বর্তমান বাজারে এ ধরনের চাকরি পাওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীই এখন বেবিসিটার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নিজেদের খরচ মেটাতে ভারত থেকে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সাহায্য নিচ্ছেন। তাঁদের বাড়িতে বেবিসিটার হিসেবে কাজ করছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। মেয়েরাই কাজটি বেশি করছেন। এ কাজের জন্য প্রতি ঘণ্টায় আয় ১৩ থেকে ১৮ ডলার। পাশাপাশি এই পরিবারগুলোর সঙ্গে তাঁরা সেখানে থাকা-খাওয়ার সুবিধাও পাচ্ছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ ও ভারতের অন্য শহরের শিক্ষার্থীরা এ কাজটি বেশি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো ও ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে বার্ষিক ওপেন ডোরস রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও প্রি-একাডেমিক ইনটেনসিভ ইংলিশ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নথিভুক্ত করা হয়। ২০২৪ সালের বার্ষিক ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, টেক্সাসে প্রায় ৩৯ হাজার, ইলিনয়ে ২০ হাজার, ওহাইওয়ে ১৩ হাজার ৫০০ ও কানেকটিকাটে ৭ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী আছেন। এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশের। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থী বলেছেন, তাঁরা খরচ মেটাতে বেবিসিটারের কাজ করছেন।
ওহাইওয়ে পড়াশোনা করা হায়দরাবাদের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘আমি প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা করে একটি ছয় বছর বয়সী শিশুর যত্ন নিই। প্রতি ঘণ্টায় ১৩ ডলার করে বেতন পাই।’ তিনি আরও বলেন, স্থানীয় দোকানে বা গ্যাস স্টেশনে কাজ করার চেয়ে এ কাজটি অনেক ভালো। কানেকটিকাটে পড়াশোনা করা আরও এক ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি বেবিসিটার হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ১০ ডলার পান, তবে তাঁর নিয়োগকর্তা তাঁকে খাবার ও থাকার সুবিধাও দেন। ২৩ বছর বয়সী ছাত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাকে সপ্তাহে ছয় দিন আড়াই বছরের বাচ্চা মেয়ের যত্ন নিতে হয়। ওই ছয় দিন মেয়েটির মা-বাবা আমার খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রোববার আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে থাকি।’ আমেরিকায় ভাড়া বাবদ প্রায় ৩০০ ডলার খরচ হয় শিক্ষার্থীদের। সেখানে বেবিসিটারের কাজ করলে ভাড়ার টাকাও বাঁচে। তাই এই কাজে বেশ খুশিই শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীরা এটাও জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক ও ইলিনয়ের মতো স্টেটে অনেক ভারতীয় বাস করেন। তবে সেখানে বেবিসিটাররা কম বেতন পান। কারণ, এই এলাকাগুলোয় চাকরির চেয়ে বেশি বেবিসিটার রয়েছেন।