২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস: শিক্ষার অচলাবস্থা কাটছে, স্থবিরতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

নতুন উপাচার্য নিয়োগে যত দেরি হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা আরও বাড়বে। বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু।

পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাফাইল ছবি

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে শিক্ষাঙ্গনে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল, তা এখন কাটতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়গুলোতে ইতিমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষাক্রম নিয়েও নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ এক মাস হয়ে গেলেও উচ্চশিক্ষায় এখনো স্থবিরতা কাটেনি। বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ করা উপাচার্যদের পদত্যাগের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ এই পদগুলো শূন্য হওয়ায় এই স্থবিরতা দেখা দেয়।

অবশ্য এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশা করছে, তাড়াতাড়ি উচ্চশিক্ষাতেও স্থবিরতা কেটে গিয়ে গতি ফিরবে। যদিও যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ করতে হিমশিম অবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যসহ শীর্ষ পর্যায়ের পদে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। অন্যদিকে স্কুল-কলেজে কোথাও কোথাও চাপের মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের পদত্যাগের ঘটনাও ঘটে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশা করছে, তাড়াতাড়ি উচ্চশিক্ষাতেও স্থবিরতা কেটে গিয়ে গতি ফিরবে। যদিও যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ করতে হিমশিম অবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
আরও পড়ুন

প্রথমে ৭ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও স্কুলগুলোতে ভয় ও আতঙ্কে উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ আগস্ট থেকে খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে নতুন করে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর আগে পুরোদমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে স্কুল-কলেজে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। যদিও নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কী হবে, তা নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে অস্পষ্টতা দেখা দেয়।

এরপর ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিপত্র দিয়ে শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তকসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানায়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবারও নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে; যা নতুন শিক্ষাক্রমে তুলে দিয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন বিষয় পড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথাগত পরীক্ষার পরিবর্তে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সারা বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার সেই প্রথাগত পরীক্ষাব্যবস্থা ফিরছে। মোদ্দা কথা, নতুন শিক্ষাক্রম এক অর্থে আর থাকছে না। এখন ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

প্রথম আলো ফাইল ছবি
কোটা আন্দোলনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত নন। অনেক সহপাঠী আহত, হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন

পরীক্ষা ছাড়া ফল নিয়ে সমালোচনা

২০ আগস্ট বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এ কারণে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ। এখন যে কয়টা বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর ফলাফল আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেসব বিষয়ে ওই সব শিক্ষার্থীর এসএসসি ও জেএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এমনকি পরীক্ষার্থীদেরও অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। অনেকেই বলছেন, পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল প্রকাশিত হলে তা মন্দ নজির হয়ে থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে ভুগতে হবে। যদিও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের যুক্তি হলো, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকায় তাঁদের মানসিক চাপে ফেলেছে। এ ছাড়া কোটা আন্দোলনের কারণে অনেক শিক্ষার্থী মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত নন। অনেক সহপাঠী আহত, হাসপাতালে ভর্তি।

স্থবিরতা কাটেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে

বর্তমানে দেশে ৫৫টি স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি। বাকি ৫১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে (অধিভুক্ত কলেজসহ) ৪৪ লাখের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্তত ৪৬ জন উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে অনেক সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাও পদত্যাগ করেছেন। যাঁরা সবাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া।

পদত্যাগ না করায় কেউ কেউ পদত্যাগের হুমকি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য পদত্যাগ করলেও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল পদত্যাগ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সূত্র বলছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি, সেগুলোতে প্রশাসনিক ও শিক্ষাবিষয়ক সিদ্ধান্তগুলোও আটকে আছে। আবার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষক ক্লাসে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। পদত্যাগ না করায় কেউ কেউ পদত্যাগের হুমকি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ–উপাচার্য পদত্যাগ করলেও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল পদত্যাগ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ তাঁকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তা পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সচল করতে অসুবিধা হচ্ছে।

একসঙ্গে বিপুলসংখ্যক উপাচার্যের পদত্যাগের পর এখন উপাচার্য নিয়োগের জন্য যোগ্য শিক্ষক বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। বিগত সরকারগুলোর আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শীর্ষস্থানীয় পদে দলীয় আনুগত্য রয়েছে, এমন শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবনায় ছিল একেবারে দলীয় শিক্ষকদের উপাচার্য না করে শিক্ষার্থীসহ অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের উপাচার্য করতে। যদিও ইতিমধ্যে নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যদের ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি রক্ষা করতে পাচ্ছে না সরকার। এর মধ্যে যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, তার মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মূল কারণ, যাঁকে উপাচার্য করা হয়েছে, তাঁকে সাত বছর আগে অন্যের টেকনিক্যাল পেপার নকল করে প্রকাশ ও বিদেশে এক সম্মেলনে উপস্থাপন করার অভিযোগে কুয়েট সিন্ডিকেট তাঁকে শাস্তি দিয়েছিল।

বর্তমানে উপাচার্য নিয়ে সমস্যাটি বেশ প্রকট হয়েছে। কারণ, দীর্ঘ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় আনুগত্যের কারণে দলনিরপেক্ষ লোক তেমন তৈরি হয়নি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের গবেষণা চর্চা হওয়ার কথা ছিল, সেটিও ঠিকমতো হয়নি। ফলে শিক্ষাগত দিক দিয়ে পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষকও তৈরি হয়নি।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক
আবার কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তা পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সচল করতে অসুবিধা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, তাদের কাছে অসংখ্য আবেদন বা সুপারিশ জমা পড়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকেও শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তালিকার মধ্য থেকেই উপাচার্যসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতি হলো, প্রথমে প্রধান প্রধান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে। তারপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে।
উপাচার্য নিয়োগে যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যে বেশ কঠিন, সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কথাতেও ফুটে উঠেছে। তিনি গত ৩১ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, প্রশাসনিক দক্ষতা আছে, বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে যোগ্য—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগ্যদের খুঁজে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি যে অচিরেই অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে পারব।’ তাঁর এই বক্তব্যের পর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়।

শুধু উপাচার্যই নয়, অন্যান্য প্রশাসনিক পদ থেকেও অনেকেই পদত্যাগ করেছেন। যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষসহ প্রশাসনের অন্তত ৭৮ জন ঊর্ধ্বতন শিক্ষক-কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়। এখন নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

আবার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাক্রম চালু করা যাচ্ছে না। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে ২৭ আগস্ট; কিন্তু এখনো ক্লাস শুরু হয়নি।

জানতে চাইলে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চান; যাতে খোলার পর অসুবিধা না হয়। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে আবাসিক হল পরিদর্শন করে মতবিনিময় করেছেন। এখন বিভাগীয় পর্যায়ে মতবিনিময় করবেন। তিনি বলেন, বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায়। খোলার সিদ্ধান্তও হবে সিন্ডিকেট সভায়। তিনি ধারণা দেন, সব মিলিয়ে মাসখানেক সময় লাগতে পারে।

উপাচার্য নিয়োগে দেরি ও সমস্যার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবনাতেও এসেছে। তাই বিশেষ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষদের অনুপস্থিতিতে জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন জ্যেষ্ঠ একজন অধ্যাপক।

শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে উপাচার্য নিয়ে সমস্যাটি বেশ প্রকট হয়েছে। কারণ, দীর্ঘ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় আনুগত্যের কারণে দলনিরপেক্ষ লোক তেমন তৈরি হয়নি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ধরনের গবেষণা চর্চা হওয়ার কথা ছিল, সেটিও ঠিকমতো হয়নি। ফলে শিক্ষাগত দিক দিয়ে পর্যাপ্ত যোগ্য শিক্ষকও তৈরি হয়নি। এ জন্য যোগ্য লোকের অভাবটি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেও এখন দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপাচার্য হিসেবে যাঁকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাঁকে দলনিরপেক্ষ হতে হবে। দ্বিতীয়ত শিক্ষা ও গবেষণায় খ্যাতিও থাকতে হবে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হওয়ার মতো মনোভাব থাকতে হবে।