মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: গন্তব্যের কারণ কি কম টিউশন ফি এবং স্বল্প খরচে জীবনযাপন

বাংলাদেশিসহ বিদেশি অনেক শিক্ষার্থীর কাছে উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ২০টি সরকারি ও ১৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে দেশটিতে। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। ফাউন্ডেশন, ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি এবং পোস্টডক্টরাল পর্যায়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ফাউন্ডেশন বা ডিপ্লোমা থেকে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শুরু করতে পারেন।

আইইএলটিএস বা টোয়েফল সনদ না থাকলেও মালয়েশিয়ার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে। তবে সে ক্ষেত্রে মূল কোর্স শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইইএলটিএসের প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়।

বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হলো বিশ্বের শীর্ষ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কম টিউশন ফি এবং স্বল্প অর্থে জীবনযাপন। ২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ের বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মালয়েশিয়ার আছে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কম খরচে পড়াশোনা ও জীবনযাপনের খরচ, কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের তুলনায় এ খরচ অর্ধেকে নেমে আসে। বৃত্তিসহ অন্য সুবিধা তো রয়েছেই। দেশটিতে স্নাতকে পড়তে বছরে গড় খরচ মাত্র ৬ হাজার মার্কিন ডলার।

আরও পড়ুন

ফোর্বসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নানা দূরদর্শী কৌশল গ্রহণ, গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, কার্যকরভাবে ঐতিহ্যবাহী সীমাবদ্ধতাগুলো কমিয়ে ফেলা এবং একাডেমিক ভারসাম্যের কারণে মালয়েশিয়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে।

মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া নানা অফারও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করছে। যেমন: পড়াশোনা শেষে বা পড়াশোনা–পরবর্তী কাজের নীতিমালার ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন এনেছে দেশটি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি অর্জনের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রবণতা বেশি। স্নাতক ডিগ্রি সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ২০১৯ সাল থেকে স্নাতকোত্তর এবং স্নাতকোত্তর স্তরে বিদেশি শিক্ষার্থী অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন