মিসরের স্কুলে নেকাব নিষিদ্ধ, হিজাব পরতেও বাধ্য করা যাবে না
মেয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের জন্য মাথা ও মুখঢাকা নেকাব নিষিদ্ধ করেছে মিসর সরকার। গত সোমবার দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করেছে। দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত একটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও হিজাব পরে ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবে। রীতি অনুযায়ী, ছাত্রীদের চুল ঢেকে রাখার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
মিসরের শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেগাজি সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম আহরামে সরকারের নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকার বলছে, চুল ঢেকে রাখা যাবে, তবে মুখ ঢেকে রাখা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি ‘নেকাব’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। বলা হয়েছে, মুখমণ্ডল আড়াল করে রাখে এমন কোনো পোশাক আর এখন থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত। নতুন শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৮ জুন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও হিজাব পরে ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবে। রীতি অনুযায়ী, ছাত্রীদের চুল ঢেকে রাখার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কোনো ছাত্রী হিজাব পরবে কি পরবে না, তা যেন তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়। মা–বাবার সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত থাকা উচিত। ছাত্রীকে কোনো কিছু করতে যেন বাধ্য না করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাদের নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০২০ সালে আদালতও সেই নিষেধাজ্ঞার সমর্থনেই রায় দিয়েছিল।
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আবায়া পরে সরকারি স্কুলে যেতে না পারার নতুন নিয়ম চালু করেছে ফ্রান্স। দেশটির সরকারি বিদ্যালয় ও সরকারি ভবনে যেকোনো ধরনের ধর্মীয় চিহ্নের ব্যবহারও নিষিদ্ধ। সরকারের এ সিদ্ধান্ত না মেনে আবায়া পরে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের ফেরত পাঠানো হয় বাসায়। ৬৭ শিক্ষার্থীকে (৪ সেপ্টেম্বর) বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।