চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বরাদ্দের আবেদন অনলাইনে শুরু ১০ আগস্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলবে ১৮ আগস্ট। এর পরের দিন থেকে শুরু হবে ক্লাস। ১৬ আগস্ট থেকে নিয়মিত সূচিতে চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। আর ১০ আগস্ট থেকে সিটের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিভিন্ন আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের জন্য এ আবেদন অনলাইনে করা যাবে দুপুর ১২টা থেকে। আবেদনের লিংক ১০ আগস্ট দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া হবে।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনাবলি হলো—
১. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শুধু আবেদন করতে পারবেন;
২. সব আগ্রহী শিক্ষার্থীকে (বরাদ্দপ্রাপ্ত, সংযুক্তসহ) আবেদন করতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত ও পূর্বে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য আবেদন ফি প্রদান করতে হবে না। এ ছাড়া অন্যদের আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
৩. আবেদন ফি ১০০ টাকা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।
৪. বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।
৫. প্রত্যেক আবেদনকারীকে এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার জিপিএসহ ইতিমধ্যে প্রাপ্ত বিভিন্ন বর্ষ/সেমিস্টারের জিপিএ উল্লেখ করতে হবে এবং সেসবের অনুকূলে নম্বর/গ্রেডশিটের স্পস্ট সফট কপি আবেদনের সঙ্গে আপলোড করতে হবে। প্রাপ্ত জিপিএর সমূহের গাণিতিক গড়ের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করে সিট বরাদ্দ করা হবে। সিট বরাদ্দের যেকোনো পর্যায়ে কোনো আবেদনকারীর প্রদত্ত তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬. ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নথি অনুসারে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৩০। এসব শিক্ষার্থীর থাকার জন্য হল রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে চালু আছে ১২টি। চালু থাকা হলের মধ্যে ছাত্রদের ৭টি, ৫টি ছাত্রীদের। ছাত্রীদের হলে বরাদ্দপ্রক্রিয়া চলমান। নিয়ম মেনে ছাত্রদের হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেবার প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর আবেদন করেন ১ হাজার ৬০ শিক্ষার্থী। আবেদন করলেও শিক্ষার্থীরা বৈধভাবে হলে উঠতে পারেননি।