বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, সংখ্যা কমানোর কথা জানাল কানাডা
বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিট (পড়াশোনার অনুমতি) এবং বিদেশি কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিটের (কাজের অনুমতি) যোগ্যতায় আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানোর জন্যই এ উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। আগামী বছর (২০২৫ সাল) ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টাডি পারমিট দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার বর্তমানে জনমত জরিপে পিছিয়ে আছে। চলতি সপ্তাহে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনেও হেরেছে। এরপরই কানাডা সরকার বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মী কমানোর এ পরিকল্পনা ঘোষণা করল। কানাডায় ২০২৫ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অভিবাসননীতি কানাডার রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৫ সালে ৪ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীকে পড়ার অনুমতি দেবে দেশটি। চলতি বছরের চেয়ে এই সংখ্যা কম। এ বছর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থীকে। ২০২৩ সালে অনুমতি পাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখের বেশি।
এক বিবৃতিতে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, বাস্তবতা হলো কানাডায় যাঁরা আসতে চান, সবাই তা পারবেন না। কানাডায় আসতে পারা একটা সুযোগের ব্যাপার। এটি কোনো অধিকার নয়।
গত এপ্রিলে কানাডায় অস্থায়ী বাসিন্দা ছিল মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। কানাডা সরকার চাইছে এটি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়সহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার জন্য কানাডায় অভিবাসীদের দায়ী করা হয়। এ জন্য নতুন উদ্যোগের পথে হাঁটছে দেশটি।