ভারতে একাদশ-দ্বাদশেই ইন্টার্নশিপের সুযোগ, চালু হচ্ছে স্কিম

প্রতীকী ছবি। মডেল: আমিন ও দীপিকাপ্রথম আলো

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়ে ভারতের শিক্ষাক্রমে যুক্ত করা হচ্ছে ‘বিজ্ঞান ধারা’ স্কিম। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামও থাকছে। এ স্কিমের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ইন্টার্নশিপ ও পরে গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করবে সরকার। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কীভাবে বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ তৈরি করে দিতে পারি, সে জন্যই এ উদ্যোগ বলে দেশটির সরকার বলছে। এর ফলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। এগিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর বিশেষ জোর দিতে বিজ্ঞান ধারা স্কিম চালু করছে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের পড়াশোনা, গবেষণা, গবেষণাগারের উন্নতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ দেবে সরকার। এ জন্য পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়ে তৈরি করা এই বিজ্ঞান ধারা স্কিমের মধ্যে স্কুল পর্যায়ে বিশেষ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামও থাকছে। ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি রুপির এ স্কিমের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এ স্কিমের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থেকে ইন্টার্নশিপ ও পরে গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করবে সরকার।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

পাঁচটি বিষয় হলো

১. একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি। একাদশ-দ্বাদশ থেকে পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল গবেষণার জন্য ফেলোশিপ মিলবে।

২. আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় গবেষণা কার্যক্রম চলবে।

৩. যৌথ গবেষণা, যৌথ প্রজেক্ট ও যৌথ ফেলোশিপ থাকবে।

৪. নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া যেগুলো সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে, যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন।

৫. শুধু গবেষণা নয়, বাস্তবে তার প্রয়োগ কতটা হচ্ছে, কতটা সমাজের উপকারে লাগছে, তার ওপর জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারত সরকার বলছে, পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বেরিয়ে কীভাবে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারেন, তারই দিশা থাকবে বিজ্ঞান ধারা স্কিমে। এর জেরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। আরও এগিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। বড় প্রজেক্টের ক্ষেত্রে একাধিক দেশ মিলিয়ে কাজ করবে। এর ফলে ভারতের নতুন পরিচয় তৈরি হবে। নতুন এই পরিচয়কে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চায় দেশটি। কিন্তু নানা কারণে মেধা যেন পাচার না হয়, সে জন্য যৌথ গবেষণা, যৌথ প্রজেক্ট ও যৌথ ফেলোশিপে ফোকাস দেওয়া হবে। যে বিষয়গুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে, যেমন আবহাওয়ার পরিবর্তন, সেগুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে যেন সমাজে একটা ভালো পরিবর্তন আসে। ভারত সরকার বলছে, অনেক সময় দেখা যায় যে গবেষণা হয় কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তার ফলটা মেলে না। কিন্তু সেটা বাস্তবে না হলে সমাজের উপকার হয় না। তাই এর ওপর জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন