মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু, ফি ১০০০

দীপু মালাকার

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে এ আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ১ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিয়ে পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। পুনর্নিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে যথাসময়ে জানানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন

ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ পদ্ধতি

টেলিটকের যেকোনো প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে খুদে বার্তা (SMS) করতে হবে। প্রথম এসএমএস: DGME RSC Roll No লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। (যেমন DGME RSC 1116000)। ফিরতি মেসেজে একটি PIN নম্বর আসবে।

দ্বিতীয় এসএমএস: ফি প্রদানের জন্য প্রাপ্ত PIN নম্বর দিয়ে SMS করতে হবে DGME RSCYESPIN এবং পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। যেমন DGME RSCYES 12345678। ফিরতি মেসেজে ফি জমা বাবদ একটি প্রাপ্তি স্বীকার এসএমএস পাওয়া যাবে।

দীপু মালাকার

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ (বিএমএন্ডডিসি) কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এদিকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কাগজপত্র বা তথ্যাদি যাচাই–বাছাই করা হবে। এতে যদি কারও তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের প্রাথমিক নির্বাচন বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে। আর এই যাচাই–বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ভর্তিসংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তবে বাকিদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম চালু থাকবে। নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে কোটা।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন