ইউএপি-এর ১০ম সমাবর্তন, ৯ শিক্ষার্থী পেলেন আচার্য গোল্ড মেডেল, উপাচার্য গোল্ড মেডেল ৫৫ জন

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)-এর ১০ম সমাবর্তন আজ শনিবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৫ হাজার ৯৭৭ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্নাতক ৪ হাজার ২১৬ জন এবং স্নাতকোত্তর ১ হাজার ৭৬১ জন। ১০ম সমাবর্তনে ৯ জনকে আচার্য গোল্ড মেডেল এবং ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর আচার্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ সময় সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-স্যাম্পেইন-এর এডওয়ার্ড উইলিয়াম এবং জেন মার গুটসেল অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ।

কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, শিক্ষা এখন আর মুষ্টিমেয় তথাকথিত কিছু অভিজাত শ্রেণির মধ্যে কুক্ষিগত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে—প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার দ্বারও এখন দেশব্যাপী উন্মুক্ত। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকার শিক্ষাপদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই পরিপ্রক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের শিক্ষাক্রমে যুগপৎ জ্ঞান ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে।

সমাবর্তন বক্তা মো. তাহের আবু সাইফ বলেন, আজকের দিনটি একই সঙ্গে আনন্দের ও জীবনের প্রতিফলনের দিন। আজ সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের কথা। যাঁর সারা জীবনই আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। তিনি গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, এখনই তোমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখা উচিত, যা মানবকল্যাণে কাজে আসবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে তারা নেতৃত্ব দিতে পারে। আত্মকেন্দ্রিকতা বাদ দিয়ে একসঙ্গে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপারসন স্থপতি মাহবুবা হক এবং উপাচার্য কামরুল আহসান। সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মো. সুলতান মাহমুদ এবং মার্শালের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক এ কে এম নজরুল ইসলাম।