কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কিনতে বাধ্য করছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, কোনো কোনো গাইড ও নোট বই মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আর্থিকভাবে প্রলুব্ধ করে। তারা এসব নোট ও গাইড শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করে। এই নোট ও গাইড বন্ধে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ও কলম্বো প্ল্যান স্টাফ কলেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দক্ষতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ঢাকা ঘোষণা’ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এই সম্মেলন হয়। সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণায় মানসম্মত কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাইড ও নোট বই ব্যবহার বন্ধ করতে চাই। সৃজনশীল পদ্ধতিতে এগুলোর প্রয়োজন হওয়ারও কথা না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এসব বন্ধ করা সম্ভব না। সবার সহযোগিতা দরকার।’
চলিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংখ্যার হিসাবে এটা নগণ্য। কিন্তু তাও-বা কেন হবে?
শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসব উত্তরপত্র আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ উঠেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষার একটি প্রশ্ন হুবহু নোট বই থেকে করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা কে করেছেন, তা শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তাঁরা দেখছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সাত হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। যেহেতু সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে এই নিয়োগ হয়, সে জন্য এটা করতে এক বছর বা এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি এ কে এম হামিদ।