মেডিকেলে ভর্তি–ইচ্ছুকদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এ পরীক্ষায় ভর্তি–ইচ্ছুকদের প্রবেশপত্র ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (http://dghs.teletalk.com.bd)-তে আপলোড করা হয়েছে। প্রার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) দুপুর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাচ্ছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ২৫ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯টি কেন্দ্রের ৫৪টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। পরীক্ষার ভেন্যুসংখ্যা বাড়তেও পারে। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ হিসাবে এ বছর আসনপ্রতি ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আসন বাড়ছে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ২৮২টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে।
পরীক্ষাপদ্ধতি ও মেধাতালিকা কীভাবে হবে
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।
মেডিকেল ভর্তি আগের নিয়মেই
এবারও আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের শর্ত এবং এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ওপর ধার্য করা ২০০ নম্বরও কমানো হচ্ছে না। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।