এক কলেজ থেকেই মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন ৩৯
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। আর ওই প্রতিষ্ঠানটি হলো নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সম্মিলিত মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৯ জনের নাম চলে এসেছে। এর মধ্যে ২৩ জন মেয়ে ও ১৬ জন ছেলের নাম রয়েছে। গত বছর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান।
কলেজ সূত্র জানায়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ হিসেবে পরিচিত ছিল। চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) মোট ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২৬৫ জন পাস করেন। এর মধ্যে ২৪৯ জন পেয়েছিলেন জিপিএ-৫।
একই সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আসছেন। গত বছর (২০২১) ছিল ৪০ জন, ২০২০ সালে ৪০, ২০১৬ সালে ৩৮ ও ২০১৮ সালে ৩৮ শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পান। এ ছাড়া অন্য শিক্ষার্থীরা বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আসছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শাহরিয়ার রাসেল বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল পরিবেশ, শিক্ষকদের পাঠদান ও তদারকির কারণে আমি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি।’
রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সাদিয়া পুষ্পিতা। তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিক্ষকদের মানবিক আচরণে মুগ্ধ। তাঁদের উৎসাহ ছিল বলে আমার এই অর্জন। আমি শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সফর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। কোনো পত্রিকার নাম উল্লেখ না করে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমি পত্রিকায় পড়েছি, ২০২১ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। আমি খুবই আলোড়িত হই। আমি এই মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সুযোগ খুঁজছিলাম। আমি গর্বিত তোমাদের নিয়ে।’
কলেজটিতে জীববিজ্ঞান পড়ান সহকারী অধ্যাপক আতাউর রহমান। তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে, তাঁদের সাফল্যের কথা শুনে। আরও অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।’
বুধবার সকালে (৬ এপ্রিল) সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘করোনাকালে আমরা মুখোমুখি ক্লাস নিতে পারিনি। তবে আমাদের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস চালু ছিল। নিয়মিত তদারকি ছিল। এ ব্যাপারে ভালো সহযোগিতা পেয়েছি অভিভাবকদের। শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা ধারাবাহিক সাফল্য দেখাতে পারছি। এর সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক। বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন।’