ক্যাডেট কলেজে ভর্তি: চার বিষয়ে ৩০০ নম্বরে পরীক্ষা
ক্যাডেট কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ৩০০ নম্বরের। সময় থাকবে ৩ ঘণ্টা। মনে রেখো, সিলেবাসটি বেশ বড়। ৩ ঘণ্টার মধ্যে তোমাদের চারটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। সাধারণ জ্ঞান অংশে ৫-৬টি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। নিচে ২০২৩ সালের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের আলোকে নিচের তথ৵ দেওয়া হলো।
ইংরেজি: নম্বর ১০০
ইংরেজি বিষয়ে নম্বর ছিল ১০০। ২০২৩ সালের প্রশ্নপত্রে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রশ্ন ছিল ১১টি। সব কটিরই উত্তর করতে হয়েছে।
একটি প্যাসেজ দেওয়া ছিল। প্যাসেজটি পড়ে ৫টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। নম্বর ছিল ৫*২=১০।
৫টি শব্দ দেওয়া ছিল। সেই শব্দগুলোর পার্টস অব স্পিস কী হবে, তা নির্ণয় করে লিখতে বলা হয়। নম্বর ছিল ৫।
৫টি বাক্য দেওয়া ছিল, সেখানে শূন্যস্থান পূরণ করতে হয়। সঠিক অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন দিয়ে তা পূরণ করতে বলা হয়। নম্বর ছিল ৫।
Column A ও Column B দেওয়া ছিল। তা সঠিকভাবে মিলিয়ে ম্যাচিং করতে হয়, নম্বর ৫।
ট্রান্সফরমেশন সেনটেন্স ছিল ৫টি। সঠিকভাবে তার উত্তর দিতে বলা হয়। নম্বর ছিল ৫।
রাইট ফর্মস অব ভার্ব। সঠিক রাইট ফর্মস অব ভার্ব ব্যবহার করে সঠিক বাক্য লিখতে বলা হয়। নম্বর ছিল ৫।
জাম্বল ওয়ার্ড রিঅ্যারেঞ্জ। এলোমেলো ওয়ার্ড ছিল, তা মিলিয়ে সঠিক বাক্য তৈরি করতে বলা হয়। নম্বর ছিল ১০।
একটি প্যাসেজ দেওয়া ছিল, সেখানে স্পেলিং সঠিক ব্যবহার করতে বলা হয়। নম্বর ছিল ১০।
একটি প্যাসেজ দেওয়া ছিল। সেখানে কিছু ভুল শব্দ থাকে, তা ঠিক করতে বলা হয়। নম্বর ছিল ১০।
যেকোনো একটি বিষয় দেওয়া ছিল। ইংরেজিতে তার ওপর ১০টি বাক্যের একটি প্যারাগ্রাফ লিখতে বলা হয়। নম্বর ১০।
একটি স্টোরির কয়েকটি লাইন দেওয়া ছিল। তা পড়ে স্টোরিটি শেষ করতে বলা হয় ১০টি লাইনের মধ্যে। নম্বর ছিল ১০।
গণিত: নম্বর ১০০
১ নম্বর প্রশ্নে ৫টি প্রশ্ন ছিল। পাটিগণিত ও বীজগণিত মিলিয়ে নম্বর ছিল ৫×২=১০।
২ নম্বর প্রশ্নে ৩ অংশের ক+খ+গ একটি অঙ্ক ছিল। নম্বর (২+৪+৪ নম্বর) মোট ১০।
৩ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নে ৫টি ছোট ছোট প্রশ্ন ছিল। নম্বর ছিল ১×৫=৫।
৪ নম্বর প্রশ্নে ৪টি বড় প্রশ্ন ছিল। নম্বর ছিল ৫×৪=২০।
৫ নম্বর বীজগণিত সৃজনশীল প্রশ্নে ৩টি প্রশ্ন ছিল (ক+খ+গ)। নম্বর ছিল (২+৪+৪)=১০।
৬ নম্বর প্রশ্নে ২টি বড় প্রশ্ন ছিল। নম্বর ১০।
৭ নম্বর প্রশ্নে জ্যামিতি ও বীজগণিতের ৫টি প্রশ্ন ছিল। নম্বর ছিল ১০।
৮ নম্বর প্রশ্নে সৃজনশীল জ্যামিতি ছিল (ক+খ+গ) অংশে নম্বর (২+৪+৪) =১০ নম্বর
৯ নম্বর প্রশ্নে ৫টি ছোট ছোট প্রশ্ন ছিল। বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে প্রশ্ন ছিল। নম্বর ছিল ৩×৫=১৫।
প্রতিটি গণিতের সমাধান করতে হবে। খুব কম সময়ের মধ্যে তা সমাধান করতে হবে।
বাংলা: নম্বর ৬০
১ম প্রশ্নে ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই থেকে ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ছিল। সঠিক উত্তরের পাশেই তা টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়। নম্বর ১০।
৭টি ভুল বানান দেওয়া ছিল। বানান শুদ্ধ করে লিখতে বলা হয়। নম্বর ছিল ৭।
৬টি এলোমেলো বর্ণমালা দেওয়া ছিল। তা সাজিয়ে লিখে অর্থবোধক শব্দে পরিণত
করতে বলা হয়।
৪ নম্বর প্রশ্নে ছিল সংক্ষেপে এককথায় উত্তর দাও বা এক লাইনে উত্তর দাও। ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই ১০টি প্রশ্ন ছিল। তার উত্তর এককথায় বা এক লাইনে লিখতে বলা হয়। নম্বর ১০।
৫ নম্বর প্রশ্নে লিখতে বলা হয় ৬টি বড় প্রশ্নের উত্তর। নম্বর ছিল ১২।
৬ নম্বর প্রশ্নে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া ছিল। তার সারমর্ম লিখতে বলা হয়। নম্বর ৫।
৭ নম্বর প্রশ্নে যেকোনো একটি বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। তার ওপর ১০টি লাইন লিখতে বলা হয়। নম্বর ১০।
সাধারণ জ্ঞান: নম্বর ৪০
সাধারণ জ্ঞান সিলেবাসটি বড় কিন্তু নম্বর কম। মোট ৫-৬টি বিষয় মিলিয়ে এখানে প্রশ্ন হয়েছিল।
১ম প্রশ্নে সংক্ষেপে উত্তর লিখতে হয়। প্রশ্ন ছিল ১০টি। নম্বর ১০।
শূন্যস্থান পূরণ ছিল ২য় প্রশ্নে। সঠিক উত্তর লিখতে হয়। নম্বর ৫।
৩য় প্রশ্ন ছিল সঠিক উত্তর বাছাইয়ের ওপর। প্রতিটিতে চারটি উত্তর দেওয়া ছিল। ১০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর বাছাই করে তা লিখতে বলা হয়। নম্বর ১০।
৪র্থ প্রশ্ন সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করতে বলা হয়। প্রশ্ন ৫টি। প্রশ্নটি সত্য হলে ‘সত্য’, মিথ্যা হলে ‘মিথ্যা’ লিখতে হয়। নম্বর ৫।
৫ম প্রশ্নে ৫টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়। নম্বর ৫।
৬ নম্বর প্রশ্ন ছিল বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক। প্রশ্ন পড়ে সঠিক উত্তর লিখতে বলা হয়। নম্বর ৫।
*লেখক: মো. আফলাতুন, সহযোগী অধ্যাপক, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী