মাস্ক পরে ক্লাস, উচ্ছ্বসিত ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীরা

মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাসে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষার্থীরা
ছবি: রয়টার্স

মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাসে শিক্ষকের কথা শুনছে শিশুরা। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কুলের চিত্র এটি। দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় গত ৩০ আগস্ট থেকে দেশটিতে খোলা শুরু হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

করোনার প্রকোপে কিছুদিন আগেও বিপর্যস্ত ছিল ইন্দোনেশিয়া। সেই দেশটিতে কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। সংক্রমণ কমতে থাকায় স্কুলগুলো খুলে দিচ্ছে দেশটি। রাজধানী জাকার্তার ১০ হাজার স্কুলের মধ্যে ৬০০টি খোলা হয়েছে ৩০ আগস্ট। শুরুতে সপ্তাহের সোমবার, বুধবার ও শুক্রবারে সশরীর ক্লাস হবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলবে।

২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনার কারণে ইন্দোনেশিয়ার স্কুল–কলেজ বন্ধ। শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে অনলাইনে।

জাকার্তার একটি স্কুলের শিক্ষক নাদিয়া খাওফিয়া। ২৭ বছর বয়সী নাদিয়া দ্য গার্ড়িয়ানকে বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ক্লাসে ফেরার অপেক্ষায়।

স্কুল খোলার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জাকার্তার গভর্নর আনিস বাসেয়েদান বলেন, ‘জাকার্তায় করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু করেছে। এ কারণে স্কুলশিক্ষা কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

স্কুল খোলার খবরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ইন্দোনেশিয়ার স্কুলশিক্ষার্থী, বিশেষ করে শিশু শিক্ষার্থীরা। জাফিরা সামারা উফারিয়া আজ্জা নামের ছয় বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী রয়টার্সকে বলেছে, ‘এটা দারুণ একটা ব্যাপার। আমি আবার বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে পারব।’

করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রকোপে এশিয়ার যে দেশগুলো সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে, সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম ইন্দোনেশিয়া। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩১ জন এবং মারা গেছেন মোট ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন