এক বাচ্চুকে দিয়ে উদাহরণ দিলে তো হবে না: অর্থমন্ত্রী
আর্থিক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বিদেশে টাকা পাচার, কানাডায় বাড়ি করা, প্রশান্ত কুমার হালদার বা আবদুল হাই বাচ্চুরা অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে এবং গণমাধ্যমে তা উঠে এসেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেছি, শুনেছি। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’
প্রশ্নকারী সাংবাদিকের উদ্দেশে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আপনি অর্থমন্ত্রী হলে কী করতেন? যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, এর বাইরে কিছু করতে পারতেন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা মামলা করি। বহু লোক কারাগারে আছে।’
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু তো কারাগারের বাইরেই আছেন—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক বাচ্চুকে দিয়ে উদাহরণ দিলে তো হবে না। আবদুল হাই বাচ্চু কোনো অপরাধ করলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখবে। দুদক কিছু পেলে আবদুল হাই বাচ্চু হোন বা যে–ই হোক, আদালতে পাঠাবে। আদালত তখন সিদ্ধান্ত দেবেন।
অর্থমন্ত্রীকে সাংবাদিকেরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) গত মঙ্গলবার বাংলাদেশসহ ১৩৫টি দেশের অর্থ পাচারের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যের আড়ালে বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকার সমান অর্থ।
বাংলাদেশসহ সব দেশেরই জাতিসংঘ কমট্রেডে পাঠানো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়। কিন্তু ২০১৫ সালের পর জাতিসংঘ কমট্রেডে বাংলাদেশ কোনো তথ্য পাঠাচ্ছে না। না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলেও অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে তথ্য পাঠানো হলে তিনি জানতেন। কারণ, তিনি সরকারেরই অংশ।
সরকারের দিক থেকে কি এটা অস্বীকার করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার অস্বীকার করবে কেন? সরকার তো জানেই না। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের কাছে জিএফআইয়ের প্রতিবেদনের কপি দেখতে চান অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকেরা জানান, এটা ওয়েবসাইটেই আছে।