'পোশাক-ট্যানারি খাতের উচ্চ পদে নারীর সংখ্যা নগণ্য'
দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি তৈরি পোশাকশিল্প ও ট্যানারি (চামড়া) খাতের উচ্চপর্যায়ে নারীদের সংখ্যা এখনো খুব কম। ‘তৈরি পোশাক ও ট্যানারি খাতের শ্রমিকদের অধিকার পরিস্থিতি ও সীমাবদ্ধতা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার ভবনে আজ শনিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেফটি অ্যান্ড রাইটস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনটির হয়ে গবেষণাটি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের গবেষক জাকির হোসেন ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তাফিজ আহমেদ।
গবেষণায় মূলত তৈরি পোশাকশিল্প ও ট্যানারিশিল্প নিয়ে এযাবৎ হওয়া বিভিন্ন গবেষণার বিশ্লেষণ করা হয়। এ ছাড়া এই খাতসংশ্লিষ্ট নানা মহলের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। এ ছাড়া এই দুই খাতে গবেষণার সীমাবদ্ধতাগুলোও তুলে ধরা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে শ্রমিকদের চাকরির অনিশ্চয়তা, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, কম মজুরি, অনিয়ম, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে বিদ্যমান গবেষণাগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, এখনো তৈরি পোশাক খাতের ২৮ থেকে ৩৬ ভাগ শ্রমিকের নিয়োগপত্র নেই। ট্যানারিতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের নিয়োগপত্র আছে। পোশাক খাতে মজুরির বৈষম্য তুলনামূলকভাবে এখন কম। তবে নারী শ্রমিককে জোর করেই অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হয়। তবে ট্যানারিতে লিঙ্গভিত্তিক মজুরিবৈষম্য এখনো যথেষ্ট।
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক ও মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন।
আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ আহমেদ, বাপসের সভাপতি মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, আন্তর্জাতিক সংস্থা জিআইজেডের জ্যেষ্ঠ কারিগরি উপদেষ্টা ফিরোজ আলম, একশনএইডের পরিচালক আসগর আলী সাবরি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সচিব মিজ রুমা এবং ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সেফটি অ্যান্ড রাইটসের নির্বাহী পরিচালক কর্মকর্তা সেকান্দার আলী, প্রকল্প সমন্বয়ক ধৃতব্রত সেন প্রমুখ।