চট্টগ্রাম বন্দর অচলাবস্থার পথে
সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে ডাকা কর্মবিরতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরেও। আজ বুধবার সকালে বন্দর চত্বর থেকে আমদানি পণ্য খালাস ও ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে।
আজ সকালে বন্দর সচিব ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ও কনটেইনার ওঠানো-নামানো হচ্ছে। তবে বন্দরের ফটকগুলোতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকলেও চলাচল কম। দুপুরের দিকে মূলত বন্দর থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়। তখন পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে পড়লে জাহাজ থেকে নামানো কনটেইনার রাখার জায়গাও কমে আসবে। ধীরে ধীরে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোও বন্ধ হয়ে পড়বে। বন্দরের পরিচালন কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে দেশের ৯৩ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়। আর কনটেইনার পরিবহন হয় ৯৮ শতাংশ। এই বন্দরের যে কোনো প্রভাব পুরো দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ নয় দফা দাবিতে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডেকেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কর্মবিরতির কারণে সকাল থেকে পণ্যবাহী কোনো ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান বন্দর থেকে বের হয়নি। আবার বন্দরেও যেসব গাড়ি রাতে বন্দরে ঢুকেছে, সেগুলো বন্দরেই রয়েছে।
বন্দরে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার নেওয়া হয় কনটেইনার ডিপো থেকে প্রাইম মুভার ট্রেইলারে করে। কিন্তু আজ সকালে ডিপো থেকে রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি বের হয়নি। যেসব জাহাজ আজ বন্দর জেটি ছেড়ে যাওয়ার কথা, সেগুলোতে রাতেই রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বোঝাই হয়েছে। কাল যেসব জাহাজ বন্দর জেটি ছেড়ে যাবে, সেগুলো রপ্তানি পণ্য বোঝাই করার জন্য আজ রাতেই ডিপো থেকে বন্দরে পাঠাতে হবে। না হলে রপ্তানি পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে পড়বে।
প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি প্রাইম মুভার চলছে না। শ্রমিকেরা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।