১৯৭৬ সালে কেনাবেচার কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করা কামাল ট্রেডিং কোম্পানি আজ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। মূল্যবোধনির্ভর সংস্কৃতি নিয়ে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ যাত্রা শুরু করে। গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, তাঁর মা এ ক্ষেত্রে খুব জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। মা-ই তাঁর মধ্যে নৈতিকতা ও কর্মনীতির বীজ বপন করেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেঘনা গ্রুপ শ্রদ্ধা, দায়িত্বশীলতা ও সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, যার লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার জয়গান গাওয়া।
কোম্পানিতে পারিবারিক ও যূথবদ্ধতার বোধ তৈরি করতে পেরেছে মেঘনা। কোম্পানির ভাষ্য, এটাই তার সফলতার মূল চাবিকাঠি। প্রতিবছর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে করপোরেট কৌশল প্রণয়নের অধিবেশন আয়োজন করে মেঘনা। উদ্দেশ্য হলো কীভাবে কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থায় বাস্তবায়ন করা যায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু ও প্রশংসিত বৈশ্বিক মানের বৃহৎ করপোরেশন হতে চায় মেঘনা গ্রুপ। তাদের বিশ্বাস, সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো গ্রাহকমুখী উদ্যোগ, সততা, শ্রদ্ধা, দলগত উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।
সন্তানদের ব্যবসায় নিয়ে আসা মোস্তফা কামালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে তাঁর তিন সন্তান উচ্চশিক্ষা শেষ করে ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কীভাবে কাজ হয় তা এখনো শিখছেন তাঁরা, যাতে এর সঙ্গে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়া যায়। মোস্তফা কামাল বলেন, ‘১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে মেঘনাঘাটে জমি পাওয়ার পর বড় মেয়েকে আমি সেখানে নিয়ে যেতাম। কষ্ট, বেদনা, স্বপ্ন, আশা—এসব যে একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে চলে, তা বোঝানোর জন্য আমি ওকে সেখানে নিয়ে যাই। আমি সাধারণত প্রতি সপ্তাহে কারখানায় পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে সারা দিন কাটাই। এই সংস্কৃতি এখনো চলমান। সন্তানদের জায়গায় এখন নাতি-নাতনিরা কারখানায় যায়। ওরা ওখানে খেলাধুলা করে, আবার এ–ও বুঝতে পারে, কারখানায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি হয়।’