বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে সার্বভৌম বাঙালি জাতির নির্দিষ্ট মানচিত্র তৈরি হতো না। আজকে আমরা বাংলাদেশ পরিচয়ে বিদেশের দূতাবাসে জাতি পরিচয়ে কর্মযজ্ঞ চালাতে পারতাম না। তাই বঙ্গবন্ধুর এই ঋণ কোনো দিন শোধ করার মতো নয়।
ব্রুনেই দারুস সালেমের বন্দর সেরি বেগাওয়ানে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) হোসেন মাহমুদ এ কথা বলেন। ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ব্রুনেইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে হাইকমিশনার হোসেন মাহমুদ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। দোয়ার মাধ্যমে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রথম পর্ব সমাপ্ত করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে হোসেন মাহমুদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে হাইকমিশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রথম সচিব (শ্রম) জিলাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় হাইকমিশনার ছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনী রাজনৈতিক ও দূরদর্শিতা, বিভিন্ন অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। তারা পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তারা আরও বলেন, যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য পেছন থেকে ইন্ধন দিয়েছে সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা দরকার। তা না হলে এই বিচার অনেকটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। বিজ্ঞপ্তি