৪৭তম বিসিএসে আবেদনের বিষয়ে প্রার্থীদের প্রশ্নের উত্তর
৪৭তম বিসিএসের আবেদন ২৯ ডিসেম্বর শুরু হবে। আবেদন করা যাবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিসিএস স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ সঠিকভাবে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। অনলাইনে ফরম পূরণ করতে গিয়ে প্রার্থীদের মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দেয়। তাঁরা সেসব বিষয়ে সঠিক উত্তর জানতে চান। আবেদনকারীদের তেমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ৩৫তম বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা
প্রশ্ন :
উচ্চতা কম থাকলে বিসিএসে আবেদন করা যাবে কি না? (রুসাফা মনি)
উত্তর: বিসিএসে আবেদনের জন্য সব ক্যাডারে ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার ও ১৪৭.৩২ সেন্টিমিটার (পুরুষ ও নারী) এবং পুলিশ ও আনসার ক্যাডারে ১৬২.৫৬ সেন্টিমিটার ও ১৫২.৪০ সেন্টিমিটার (পুরুষ ও নারী) উচ্চতা থাকতে হবে। এর চেয়ে কম উচ্চতা নিয়ে আবেদন করলে সেটি অননুমোদিত এবং চাকরি পাওয়ার আগে বা পরে সেটি শনাক্ত হলে আপনার চাকরি চলে যাবে।
প্রশ্ন :
আবেদনের শেষ দিনে স্নাতকের পরীক্ষা শেষ হলে অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে সেদিনই আবেদন করতে হবে, নাকি আগেও আবেদন করা যাবে? (রিজন হাসান পলাশ)
উত্তর: আপনার স্নাতকের চতুর্থ বর্ষের সব লিখিত পরীক্ষা ৩০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হলেই আপনি অ্যাপিয়ার্ড প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। সে ক্ষেত্রে আবেদন চলাকালীন যেকোনো সময়ে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন :
আমি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করি। বিসিএসের আবেদনে কি চাকরিজীবী উল্লেখ করতে হবে? (সানজিদা রিতু)
উত্তর: বিসিএস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মে চাকরিরত প্রার্থীদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে। সুপারিশের পর এবং নিয়োগের আগে আপনার তথ্যের ভেরিফিকেশন করা হবে। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করা উচিত।
প্রশ্ন :
আমার ওজন ৪২ কেজি। আমি কি আবেদন করতে পারব? অথবা পুলিশ ও আনসার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ক্ষেত্রে পুরুষের ন্যূনতম ওজন ৫০ কেজি। কোনো পুরুষ প্রার্থী মেধাতালিকায় থেকে শারীরিক ওজনের শর্তটি পূরণ করতে না পারলে তাঁকে কি নিয়োগ দেওয়া হবে না? (নাজমুল হক)
উত্তর: বিসিএস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী, সব ক্যাডারে ৪৯.৯৯ কেজি ও ৪৩.৫৪ কেজি (পুরুষ ও নারী) এবং পুলিশ ও আনসার ক্যাডারে ৫৪.৫৪ কেজি ও ৪৫.৪৫ কেজি (পুরুষ ও নারী) ন্যূনতম ওজন থাকতে হবে। তবে যেহেতু মেডিকেল পরীক্ষা নিয়োগের সর্বশেষ ধাপ, তাই আপনি অসুস্থ না হলে এ সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ওজনে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
প্রশ্ন :
পিতার এনআইডি কার্ডের Md এর পরে ডট নেই। কিন্তু আমার সব ডকুমেন্ট (এনআইডি, সব সার্টিফিকেট) পিতার নামে Md. এর পরে ডট আছে। এ সমস্যার জন্য কি আমার সার্টিফিকেট পরিবর্তন করতে হবে? (তালহা আহমেদ)
উত্তর: এটি ছোট ভুল। এ জন্য নামের পরিবর্তন হয়নি। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বড় ভুলের কারণে নামের পরিবর্তন হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে চাকরিতে ভেরিফিকেশন ও অন্যান্য জটিলতা এড়াতে সব কাগজে নামের বানান এক করতে হয়।
প্রশ্ন :
তিন বছরের ডিগ্রি পাস কোর্স করার পর প্রিলি-মাস্টার্স পাস করলে বিসিএসে কি আবেদন করা যাবে? (ফারুক শিকদার)
উত্তর: বিসিএস আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতায় এইচএসসি পাসের পর চার বছর মেয়াদি শিক্ষা সমাপনী ডিগ্রি থাকতে হবে বলা আছে। তাই তিন বছর মেয়াদি পাস কোর্স ডিগ্রি সম্পন্ন করা প্রার্থীদের অতিরিক্ত দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স সম্পন্ন করে বিসিএসে আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন :
বিসিএসের আবেদন ফরমের স্বাক্ষর কি জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে? (মনিকা হোসাইন)
উত্তর: বিসিএস আবেদন ফরমে ব্যবহৃত স্বাক্ষর নতুন করে দিতে পারেন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষরও দিতে পারেন। তবে বিসিএস নিয়োগপ্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত আপনাকে একই স্বাক্ষর (আবেদন ফরমের স্বাক্ষর) ব্যবহার করতে হবে। স্বাক্ষর বাংলা নাকি ইংরেজিতে, এটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকেন। স্বাক্ষর অর্থ প্রার্থীর নিজ হাতে লিখিত চিহ্ন। এটি বাংলা বর্ণ, ইংরেজি বর্ণ বা মিশ্র যেকোনোভাবে দেওয়া যায়।
৪৭তম বিসিএসের আবেদনকারীদের আরও কোনো বিষয় জানার থাকলে আমাদের ই-মেইলে ([email protected]) ও ফেসবুক পাতায় প্রশ্ন করতে পারেন। পরবর্তী সংখ্যায় সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।