বার কাউন্সিলের ৫ কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল
আইনজীবী নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলার কারণে পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করেছে বার কাউন্সিল। এসব কেন্দ্রে আবার নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গত শনিবার লিখিত পরীক্ষা হয় রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে। তবে প্রশ্ন কঠিন হওয়ার অভিযোগে কয়েকটি কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও ভাঙচুর করেন কিছু পরীক্ষার্থী। এ সময় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ছিঁড়ে কেন্দ্রে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
যে শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি, তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বার কাউন্সিল থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাঁচ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা আবার নেওয়া হবে। পরীক্ষা কবে হবে, সেটা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
কেন্দ্রগুলো হলো রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
পুলিশ ও বার কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হয়। মোট ৯টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ঢাকার মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মহানগর মহিলা কলেজ এবং সায়েন্স ল্যাবের বিসিএসআইআর হাইস্কুল কেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কেন্দ্রগুলোতে ভাঙচুর শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদপুরের তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছেন। পরীক্ষা শুরুর ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁরা কেন্দ্রের ভেতর হইচই শুরু করে দেন। এ সময় তাঁরা অভিযোগ তোলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে উত্তরপত্র নিয়ে বেরিয়ে এসে ছিঁড়ে ফেলে দেন। এক কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী আরেক কেন্দ্রে গিয়ে এসব ঘটিয়েছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এরপর এক মামলার কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুুলিশ।
কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাব কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।