৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া প্রার্থীদের দ্রুত গেজেটভুক্ত করার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনে ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া প্রার্থীরাছবি: বিজ্ঞপ্তি

৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থীদের দ্রুত গেজেটভুক্ত করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তাঁরা।

৪৩তম বিসিএসে মৎস্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ও গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থী মিথুন শাকিল বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছিল, দ্রুত আমাদের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গেজেট প্রকাশের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। আমাদের দাবি, ঈদের আগে যেন আমাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়।’

গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থী গোপা বিশ্বাস বলেন, ‘দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে আমরা অনেকে অন্য চাকরিতে ছিলাম। কিন্তু গেজেটে নাম আসায় অনেকে সেসব চাকরি বাদ দেন। কারণ, বিসিএসের ইতিহাসে একবার গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর নিয়োগ স্থগিত করার উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি নেই। অন্য চাকরি ছেড়ে যখন বিসিএসে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন এ বাদ পড়ার দুঃসংবাদ আসে। আমরা চাই দ্রুত আমাদের জন্য গেজেট প্রকাশ করা হোক, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

এর আগে, ১৬ মার্চ গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে ৪৩তম বিসিএসে আমাদের ব্যাচমেটরা গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আসন্ন ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাসসহ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখানে আমরা ২২৭ জন পরিবারকে মুখ দেখানোর অবস্থায়ও নেই। আমাদের অনেকেই বাবা-মায়ের বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে এত বড় দুঃসংবাদ এখনো পরিবারকে জানাননি। কারণ, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ পাব এই আশ্বাস পেয়েছিলাম। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন আমাদের ২২৭ জনের মধ্যে নিরপরাধ সবার গেজেট প্রকাশ করা হয়।’

আরও পড়ুন

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন