আগের সিদ্ধান্ত বদল, বিসিএস দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ চারবার
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবেন। কয়েক দিন আগে তিনবার বিসিএস দিতে পারবেন একজন প্রার্থী—এমন সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। এখন নতুন সিদ্ধান্ত হলো কোনো প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে গত সপ্তাহে (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সর্বোচ্চ তিনবার বিসিএস দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার হয়। এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একজন পরীক্ষার্থী এখন সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বৈঠকে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নব নন ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪’–এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে। বিসিএসের আওতাবহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও একই বয়স নির্ধারিত হবে। আর স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় সংযোজন সাপেক্ষে এই বয়সের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। তবে প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগগুলো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
এর আগে এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছিল। তবে তাঁরা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কিছু বলেননি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছিল সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী।