চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্বতন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের রিপোর্ট নিয়ে আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আমরা পর্যালোচনা করেছি। আরও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত পরে জানাব।’
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছে এ–সংক্রান্ত সরকার গঠিত পর্যালোচনা কমিটি। তবে তাঁরা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়স নিয়ে কিছু বলেননি।
পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার পাঠানো ও আনার বিষয়ে অনেক অনিয়ম, দুর্নীতি হয়। ব্যবস্থা নিতে ম্যাজিস্ট্রেটদের একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে তা রহিত করা হয়। আজকের বৈঠকে সেই ক্ষমতা ফেরত আনা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য বিকৃতি করা হচ্ছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে তা বুস্ট করা হচ্ছে। এ সরকার সম্পূর্ণ অবাধ মত প্রকাশে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যাঁরা মিথ্যা তথ্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনছেন এবং প্রচার করছেন, তা না করলে ভালো হয়। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকে একটি পত্রিকার রেফরেন্স টেনে বলা হয়েছে, আমি যেন পর্দা করি, একজন খেলোয়াড় আমাকে সেই উপদেশ দিয়েছেন এমন একটি গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো হয়েছে। অথচ সত্য হচ্ছে, এই খেলোয়াড় এ ধরনের কোনো কথাই বলেনি।’ তিনি বলেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা যখন আমাদের এগিয়ে নেয়, ঠিক তেমনি মিথ্যা প্রচার আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।