৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ৮ মে

৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ৮ মে থেকে শুরু হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময়সূচি, হলভিত্তিক আসনব্যবস্থা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আজ সোমবার পিএসসি এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।

গত কয়েকদিন ধরেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এ সময় বলেন, পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি যেমন তিনি দেখার চেষ্টা করবেন তেমনি পরীক্ষার্থীদেরও বাস্তবতা দেখতে হবে। কেননা সামনে এসএসসি পরীক্ষা এরপর এইচএসসি পরীক্ষা। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাতে কেন্দ্র পাওয়ার একটি বিষয় আছে। আবার প্রশ্ন ছাপানোর বিষয় আছে। চাইলে প্রশ্ন ছাপিয়েও রাখা যাবে না দীর্ঘদিন। এসব বাস্তবতা রেখে পিএসসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি করেন, দেশের অস্থির পরিস্তিতিতে প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হচ্ছে এ ছাড়া এটি একটি গুরুত্বপুর্ন পরীক্ষা তাই প্রস্তুতির যথেষ্ঠ সময় দিতে হবে। অস্তত ৬০ দিন আগে পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করতে হবে।

আরও পড়ুন

আরেকজন পরীক্ষার্থী বলেন, তিনি একটি বেসরকারি চাকরি করেন। এর বাইরে পড়াশোনার যথেষ্ঠ সময় পাচ্ছেন না। এই পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিক মতো নিতে হলে তাঁর আরও সময় প্রয়োজন। এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পিএসসির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সময় দেবেন। তিনি আরও বলেন, গত বছরের ২৭ নভেম্বর তিনি এই বিসিএসের নতুন সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুসারে অনেকটা সময় প্রস্তুতির ছিল সেই সুযোগ পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন। আর পিএসসিকে একটি নয় অনেক বিসিএস, নন ক্যাডার, বিভাগীগ পরীক্ষাসহ নানা নিয়োগের বাইরেও কাজে যুক্ত থাকতে হয়। তবে পরীক্ষার্থীদের ভালোর জন্য সব করার চেষ্টা করবে পিএসসি।

নতুন সিদ্ধান্তে যোগ হয়েছে আরও ১০ হাজার

৪৬তম বিসিএসের ফল আবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এক বিশেষ সভায় সরকারি কর্ম কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ফলাফল আবার নতুন করে প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১ হাজার ৩৯৭ জন। আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পেলেন ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থী।

এ সংক্রান্ত পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা এবং ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী ২১ হাজার ৩৯৭ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য সাময়িকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সাময়িকভাবে যোগ্য কোনো প্রার্থীর নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে, কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ডকুমেন্টস/সনদ/প্রত্যয়ন উপস্থাপন না করলে বা প্রতারণার আশ্রয় নিলে, কোনো ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে বা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করলে বা কোনো জাল সার্টিফিকেট উপস্থাপন করলে বা বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা–সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের কোনো অংশ টেম্পারিং বা পরিবর্তন করলে এবং আবেদনপত্রে গুরুতর কোনো ত্রুটি বা ঘাটতি পাওয়া গেলে লিখিত পরীক্ষার পূর্বে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

এ বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন