৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের প্রজ্ঞাপন দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি

৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরাছবি: প্রথম আলো

৪৩তম বিসিএসে দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরা। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৩তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ও গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রার্থী ফারিয়া ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত শাহ মো. রায়হান মিয়া এবং খাদ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত খায়রুল হোসেন। অন্যান্য ক্যাডারে বাদ পড়া প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা বলেন, ‘বিসিএসের ইতিহাসে একবার গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর নিয়োগ স্থগিত করার উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি নেই। আমাদের নিয়োগ স্থগিত করে ৩০ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশিত হলে ৩১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। এরপর ২ জানুয়ারি আমাদের কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়। আমরা আবেদন করি এবং সুবিচারের আশায় অপেক্ষা করতে থাকি। এরপর ৯ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারাদেশ না থাকে, তবে তাঁরা যোগদান করতে পারবেন। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেই গেজেট আলোর মুখ দেখেনি। আমাদের জীবন যেন থমকে গেছে সেই ৩০ ডিসেম্বরে।’

আরও পড়ুন

প্রার্থীরা আরও বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে ৪৩তম বিসিএসে আমাদের ব্যাচমেটরা গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আসন্ন ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাসসহ পরিবারের সাথে ঈদ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেখানে আমরা ২২৭ জন পরিবারকে মুখ দেখানোর অবস্থায়ও নেই। আমাদের অনেকেই তাদের পিতা-মাতার বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে এত বড় দুঃসংবাদ এখনো পরিবারকে জানাননি, কারণ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ পাব এই আশ্বাস পেয়েছিলাম। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন আমাদের ২২৭ জনের মধ্যে নিরপরাধ সকলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন, আমাদের আত্মসম্মানের প্রশ্ন। আমরা আশাবাদী রাষ্ট্র আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের স্বপ্নের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ করে দেবে।’

আরও পড়ুন

৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২ হাজার ১৬৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। ভেরিফিকেশন শেষে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর ২ হাজার ৬৪ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দিয়ে প্রথম গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে প্রথম সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে ১ হাজার ৮৯৬ জনকে নিয়োগের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন