৪৫ পয়সা সর্বনিম্ন কলরেট চালু মধ্যরাতে
আজ সোমবার মধ্যরাত থেকে মোবাইল ফোনের প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন একক কলরেট ৪৫ পয়সা চালু হচ্ছে। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে অফনেট ও অননেট সুবিধা থাকছে না। একই অপারেটরের নম্বরে ফোন করা হলে সেটিকে বলা হয় অননেট আর অন্য অপারেটরে ফোন করা হলে তা হয় অফনেট। সর্বোচ্চ কলরেট আগের মতোই ২ টাকা থাকবে।
দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে এই নির্দেশনা কার্যকর করতে আজ সোমবার নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অপারেটররাও এই নির্দেশনা কার্যকর করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এখন থেকে আর মোবাইল ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে অফনেট ও অননেট সুবিধা থাকছে না। কলরেটের নতুন সীমা সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা। আর সর্বোচ্চ সীমা ২ টাকা। এত দিন একই অপারেটরে (অননেট) কল করার সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ২৫ পয়সা আর অন্য অপারেটরে (অফনেট) কল করার সর্বনিম্ন মূল্য ৬০ পয়সা।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নম্বর পরিবর্তন না করে অপারেটর পরিবর্তনের সুবিধা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) চালুর আগে অননেট ও অফনেট কলের পার্থক্য দূর করা দরকার ছিল। এটা না করা হলে বাজার প্রতিযোগিতায় ছোট অপারেটররা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। নতুন কলরেট অনুযায়ী এখন মোবাইল ফোন অপারেটররা গ্রাহকদের জন্য নতুন মূল্য নির্ধারণ করবে।
অপারেটরদের দাবি, নতুন কলরেটে গ্রাহকের ফোন করার খরচ কমবে। কারণ এত দিন অননেট কলে সর্বনিম্ন মূল্য কাগজে-কলমে ২৫ পয়সা হলেও প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কলে গড়ে গ্রাহকের খরচ হতো ৪০ পয়সা। আর অফনেট অর্থাৎ অন্য অপারেটরে কল করার খরচ পড়ে ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৫ পয়সা পর্যন্ত। একক কলরেট চালু হলে অননেট কলের খরচ ৫ পয়সা বাড়বে, কিন্তু অফনেট কলের খরচ কমবে ৪৫ থেকে ৫০ পয়সা। এতে গ্রাহকসংখ্যায় পিছিয়ে থাকা অপারেটরের গ্রাহকেরা বেশি সুবিধা পাবেন।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোন থেকে ৯০ শতাংশ কল হয় অননেটে, ১০ শতাংশ কল অফনেটে হয়। অন্যদিকে সরকারের মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটকের ১০ শতাংশ কল অননেটে ও ৯০ শতাংশ কল অফনেটে হচ্ছে। রবি ও বাংলালিংকের অননেট-অফনেট কলের পরিমাণ ৭০ ও ৩০ শতাংশ।