বাণিজ্য মেলায় ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছে, মাসব্যাপী মেলায় দর্শক এসেছে ৫০ লাখ
২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। এবারের মাসব্যাপী মেলায় দর্শক এসেছে ৫০ লাখ।
আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান।
দেশি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিকে বাণিজ্যমন্ত্রী ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন দেশেই তৈরি বিশ্বমানের পণ্য পাচ্ছে। ফলে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তাই পণ্য আমদানি আস্তে আস্তে কমে আসছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের বর্তমান রপ্তানি বাণিজ্য তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাই ওষুধ, ফার্নিচার, চামড়া, আইসিটি, কৃষিপণ্য, জাহাজ নির্মাণের মতো সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে।’ তিনি মনে করেন, আরও বড় পরিসরে স্থায়ী জায়গায় মেলা করা গেলে রপ্তানি আদেশ আরও বাড়বে।
টিপু মুনশি বলেন, এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে বছরজুড়ে বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন করা সম্ভব হবে।
এবারের বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে আজ শনিবার শেষ হয়েছে। মেলায় দেশি-বিদেশি মিলে ৬০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ২২টি দেশের ৫২টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের তুলনায় সব ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গেছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারত থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে।’ অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি দেশবাসীকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩ ক্যাটাগরিতে ৪২টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ৩৩টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট এবং সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যৌথভাবে এসব ট্রফি ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।