অর্থনীতিতে ডলার–সংকট এখনো কাটেনি। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে বাণিজ্যঘাটতি। মূল্যস্ফীতিও ঊর্ধ্বমুখী। হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি কেন হলো এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণে করণীয় কী—এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক মইনুল ইসলামের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুদ মিলাদ।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: ডলার–সংকট হঠাৎ করে কেন এত তীব্র হয়ে গেল?
মইনুল ইসলাম: সাদাচোখে মনে হবে, শুধু পণ্য আমদানিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলার–সংকট তৈরি হয়েছে। আদতে তা নয়। এটা ঠিক, করোনা সংকট কাটিয়ে ওঠার পর বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানি তেল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), ভোজ্যতেল, গমসহ অনেক পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে গেছে। তবে ডলার–সংকটের জন্য আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিকে এককভাবে দায়ী করা ঠিক হবে না। এখানে দুটি বিষয় কেউ বিবেচনা করে না। করোনার সময় হুন্ডি ব্যবসা বলতে গেলে একপ্রকার বন্ধ ছিল। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর এখন আবার হুন্ডি ব্যবসা ব্যাপকভাবে চাঙা হয়েছে। হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পুঁজি পাচার বেড়েছে। আবার বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে ওভার–ইনভয়েসিংয়ের (পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে অর্থ পাচার) মাধ্যমেও পুঁজি পাচার বেড়েছে। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ডলার–সংকটের নেপথ্যে এই দুটিও বড় কারণ।
প্রশ্ন :
প্রবাসী আয়ে নিম্নগতি ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্যঘাটতিও বাড়ছে। এর প্রভাব কী হতে পারে?
মইনুল ইসলাম: চলতি হিসাবে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে এবার ৩০ বিলিয়ন বা তিন হাজার কোটি ডলার ঘাটতি হতে পারে। হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দিয়ে এই ঘাটতি পোষানো যাবে না। ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট বা মূলধনি হিসাব আমলে নিলেও বছর শেষে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের ঘাটতি থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। ২০০১ সালে আমাদের রিজার্ভ ১৯০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। এরপর কমার প্রবণতা শুরু হয়েছে। মাঝে রিজার্ভ ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারে নেমে আবার ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বাণিজ্যঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। আবার খোলাবাজারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে। এটা কোনোভাবেই তিন–চার টাকার বেশি হওয়া যাবে না। কারণ, ব্যবধান যত বাড়বে অবৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা তত বাড়বে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর প্রবণতা কমে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রবাসী আয় দিয়ে বাণিজ্যঘাটতি মেটাতে পারলে বাংলাদেশ বিপদে পড়বে না।
প্রশ্ন :
সরকার তো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্য আমদানিতে বাড়তি কর আরোপ করেছে। ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ জমা তথা মার্জিন বাড়িয়েছে। এসব পদক্ষেপ কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মইনুল ইসলাম: বিলাসপণ্য ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে বিলাসপণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে, এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। এমন পদক্ষেপ আরও নেওয়া উচিত। কয়েকটি পণ্যের ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে মার্জিন বাড়িয়েছে। এটি যথেষ্ট নয়। এর আওতা বাড়াতে হবে। ডলার–সংকট কাটাতে সাময়িক সময়ের জন্য আমদানি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়। আবার আমদানি বাণিজ্যে ওভার–ইনভয়েসিং যাতে না হয়, সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। এখন আসলে একটি–দুটি পদক্ষেপে সব ঠিক হয়ে যাবে, ভাবলে চলবে না। পুঁজি পাচারও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রশ্ন :
পুঁজি পাচার বন্ধ করতে সরকার কী করতে পারে?
মইনুল ইসলাম: আমাদের পুঁজি পাচারের প্রধান গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো। পি কে হালদারের পুঁজি পাচারের ঘটনাটি আমরা জানি। এ রকম অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদ আছেন, যাঁরা পুঁজি পাচার করছেন। তাঁদের হাত ধরে বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একবার বলে দিয়েছেন, রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলারাই কানাডায় বেশি অর্থ পাচার করছেন।
মুদ্রা পাচার এঁদের জন্য অনেক সহজ। বড় ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাঁরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করছেন। খেলাপি ঋণের বড় অংশই কিন্তু বিদেশে পাচার হয়েছে। আমদানিতে মূল্য বেশি দেখিয়ে পুঁজি পাচার তো আছেই। ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের যে হিসাব দিয়েছে, তাতে বছরে ৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। পোশাক খাতেও আন্ডার–ইনভয়েসিং (কম মূল্য দেখিয়ে রপ্তানি) হচ্ছে। তারা যাতে অর্জিত রপ্তানি আয় দেশে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়, সে জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর তদারকি করতে হবে। কিন্তু সরকার বিষয়টিতে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সরকার চাইলে পুঁজি পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। যেসব দেশে পুঁজি পাচার হচ্ছে, সেসব দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল পাঠাতে পারে। তারা পুঁজি পাচারকারীর নাম–ঠিকানা ও তাদের বেগম–সাহেবাদের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ কাজটি শুরু করলে দেখা যাবে, চাকরিতে আছে এমন অনেকে পুঁজি পাচারের সঙ্গে জড়িত। ব্যবস্থা নেওয়া তখন সহজ হবে।
প্রশ্ন :
পুঁজি পাচারের সঙ্গে খেলাপি ঋণের সম্পর্কটা কেমন?
মইনুল ইসলাম: খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য সরকারি হিসাবে আসছে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০১৯ সালের আগস্টে প্রাক্কলন করেছিল, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে। এরপর তারা আর প্রাক্কলন করেনি। এর সঙ্গে যুক্ত হবে অবলোপন করা ঋণ, যার পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। তাহলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ কোটি টাকা। এখন তা চার লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে আমার ধারণা। খেলাপি ঋণ বাড়লেও ব্যাংকের ব্যবসায় ক্ষতি হবে না। কারণ, আমাদের আমানতের কমতি নেই। আমানতের জোয়ার ঠিকই আছে। প্রবাসী আয় অবৈধ পথে এলেও তা দিন শেষে ব্যাংকে যাচ্ছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ নিয়ে খেলাপি ঋণ কার্পেটের তলায় লুকিয়ে ফেলেছেন। ২ শতাংশ ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে খেলাপির তালিকা থেকে বেরিয়ে গেছেন বড় খেলাপিরা। এই খেলাপি ঋণের বড় অংশই শেষ পর্যন্ত আদায় হবে না। কারণ, খেলাপি ঋণের বড় অংশই দেশের বাইরে চলে গেছে।
প্রশ্ন :
একবারে যত খুশি প্রবাসী আয় আনতে এখন কোনো বাধা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। ডলার–সংকট কাটাতে এই পদক্ষেপ কতটা ফল দেবে?
মইনুল ইসলাম: এই সিদ্ধান্তে প্রবাসী আয় বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে দুর্নীতির টাকাও সাদা করার সুযোগ বাড়ল। কালোটাকা এভাবে সাদা করার সুযোগ আগেও ছিল। এখন সরকার সহজ করে দিল। এখন যাঁরা দুর্নীতি করছেন, তাঁরা বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আনছেন। দুর্নীতির টাকায় দেশে তা শোধ করে দিচ্ছেন। বিপরীতে দুর্নীতিবাজদের কালোটাকা সাদা হয়ে যাচ্ছে। এরপরও এ সিদ্ধান্তে বৈধ পথে সংকটের সময়ে প্রবাসী আয় বাড়বে। তবে প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা আরও বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বর্তমানে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা রয়েছে। এটা আরও ১ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই খোলাবাজার ও আন্তব্যাংক ডলারের দরের ব্যবধানে তিন–চার টাকার বেশি যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে প্রণোদনা বাড়িয়েও কাজ হবে না।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: আপনি বর্তমান পরিস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় বড় প্রকল্প স্থগিত করার কথা বলছেন। আপনার ব্যাখ্যাটা কী?
মইনুল ইসলাম: যেসব প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণের কিস্তি শোধ করা যাবে না, সেগুলো এ মুহূর্তে স্থগিত করার কথা বলেছি। আমাদের সুদে আসলে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ যাতে বড় বোঝা না হয়, সে জন্য এখনই সতর্ক হওয়ার জন্য এটা বলা। এখন যে অবস্থা, তাতে ২০২৫ সালে ৪ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের কিস্তি শোধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ ঋণ যখন যোগ হবে, তখন সুদে আসলে বছরে এক লাখ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ বাবদ বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। তাহলে অন্য খাতে বাজেটে বরাদ্দ বেশি রাখা যাবে না। আমাদের বৈদেশিক ঋণ-জিডিপির অনুপাত বেড়ে যাচ্ছে। এটা যাতে অসহনীয় না হয়, সে জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প স্থগিত করে রাখা যেতে পারে।
চীনের ঋণে পদ্মা সেতুর নিচে রেললাইন প্রকল্পও তার একটি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনও আছে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার নিয়ে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডরে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল দোহাজারী রেললাইন। ভারত বেরিয়ে যাওয়ায় এই প্রকল্প গুরুত্ব হারিয়েছে। মিয়ানমার ও কুনমিং পর্যন্ত এই রেলপথ যাবে না। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এই প্রকল্প ঠিক আছে। তবে এখনই নয়। এই দুটি প্রকল্পের আয় দিয়ে ঋণের কিস্তি শোধ করা যাবে না।
আবার বুলেট ট্রেনের প্রকল্পও ঠিক নয়। বর্তমানে ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথে ৬৩ মাইল ঘুরে আখাউড়া–ভৈরব হয়ে আসা–যাওয়া করতে হয়। ঘুরপথ বাদ দিয়ে এই দূরত্ব ১৫০ মাইলে নামিয়ে আনা গেলে তিন ঘণ্টায় ঢাকা–চট্টগ্রাম আসা–যাওয়া করা যাবে। তাহলে এত টাকা খরচ করে কেন বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিতে হবে?
পায়রা বন্দরকে গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে প্রকল্প নেওয়া অযৌক্তিক ছিল। সেটি বারবার বলেছি। সরকারও সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এটি খুবই ভালো হয়েছে। সেখানে সমুদ্রবন্দর হতে পারে। তবে গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বে টার্মিনাল প্রকল্প হচ্ছে, দুটোই ভালো প্রকল্প। এসব প্রকল্প আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে সুফল দেবে। একইভাবে চীনের অর্থায়নে তিস্তা নদীর খনন প্রকল্প ও ফারাক্কা গঙ্গা বাঁধের মতো প্রকল্প ভালো ছিল। তবে ভারতের আপত্তিতে হয়নি। শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল হয়ে গেলে কেন ৫০ মাইল দূরে আরেকটি বিমানবন্দর করতে হবে? নোয়াখালীতেও বিমানবন্দর করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। আমাদের এখানে কী করা উচিত?
মইনুল ইসলাম: যেসব অর্থনীতিতে সিন্ডিকেশন ও গোপন সমঝোতামূলক ব্যবস্থানেই, সেখানে সুদের হার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ ঠিক আছে। আমাদের অর্থনীতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ মোটেও কার্যকর হবে না। এ ছাড়া এখন বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়তি। এ সুযোগে যাতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে না পারেন, সেটি কঠোর তদারকির মধ্যে আনতে হবে। এখন যে তদারকির ব্যবস্থা চলছে, তা জোরদার করা উচিত। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমিশনকেও সক্রিয় করতে হবে। বাজার তদারকিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসতে পারে বলে আমি মনে করি।