নতুন ভেন্যুতে ক্রেতা-দর্শনার্থী খরায় ভুগছে বাণিজ্য মেলা। গত শনিবার ছুটির দিনে কিছুটা ক্রেতা-দর্শনার্থী থাকলেও দ্বিতীয় দিনে তা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, নতুন ভেন্যুতে প্রথমবারের বিবেচনায় যে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দেখা যাচ্ছে, তাতে তাঁরা আশাবাদী।
মেলার গেট ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানান, শনিবার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ মেলায় এসেছিল। আর গতকাল রোববার সেই সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে ছয় হাজারে।
মেলার বিভিন্ন দোকানমালিক ও আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন স্থান, যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে পরিবহনসংকট, ধুলাবালুময় রাস্তা আর করোনা পরিস্থিতির কারণে আগের এবারের মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম।
এ বছর ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে। এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল রয়েছে। কিন্তু গতকাল মেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্টলে এখনো জিনিসপত্রই ওঠানো শুরু হয়নি। হলরুমের বাইরের দু-তিনটি প্যাভিলিয়ন ছাড়া অন্য স্টলগুলো প্রস্তুত হয়নি এখনো। পুরোপুরি গুছিয়ে নিতে আরও দু-তিন দিন লাগবে বলে জানান স্টলের কর্মীরা।
মেলায় আসা লোকজনের কথায়ও উঠে এসেছে প্রত্যাশাপূরণ না হওয়ার বিষয়টি। রাজধানীর উত্তরখান থেকে মেলায় এসে হতাশ হয়েছেন একটি খাদ্যপণ্য উৎপাদন কোম্পানির কর্মকর্তা নীলা আক্তার। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে আসার পরে দেখছি প্রায় অর্ধেক স্টলই অপ্রস্তুত। অনেক দোকান খুললেও বিক্রি নেই। এ ছাড়া মেলার ভেন্যু অনেক দূরে হয়ে গেছে। আমি হয়তো আর আসব না।’
বেসরকারি একটি আবাসন কোম্পানিতে চাকরি করেন মমিন উল্লাহ। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এসেছেন মেলায় ঘুরতে। কিন্তু কম স্টল আর পণ্য সংগ্রহ দেখে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। মমিন উল্লাহ বলেন, আগে অনেকগুলো ব্র্যান্ড মেলায় অংশ নিত। কিন্তু এখন মেলায় স্টল কম, মানুষও কম। এত কম স্টল দেখে মানুষ এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাবে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।