তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, করোনায় ১০৬ পোশাক কারখানায় ৭০ হাজার পোশাকশ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। এই দায় শুধু পোশাকশিল্প মালিকদের নয়, বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) আয়োজনে গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯ অভিজ্ঞতা: শ্রমিকদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে এক অনলাইন আলোচনায় বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
আলোচনায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানার জন্মই হয়েছে রপ্তানি করার জন্য। সে কারণে পোশাক খাতকে করোনার মতো মহামারিকে ভিন্নভাবে সামলাতে হবে। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষায় নজর দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পোশাকশ্রমিকদের জীবনযাত্রায় করোনার প্রভাব শীর্ষক এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গত ৩০ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত পোশাক খাতের ১ হাজার ৫৭ শ্রমিক এ জরিপে অংশ নেন।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, ৮২ শতাংশ শ্রমিক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এপ্রিল ও মে মাসে কম উপার্জন করেছেন। ৫২ শতাংশ শ্রমিক ফেব্রুয়ারির তুলনায় এপ্রিল ও মে মাসে কম সঞ্চয় করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৯২ শতাংশ শ্রমিক অন্যান্য খরচ কমিয়ে ফেলেছেন। খরচ কমানোর কারণে শ্রমিকদের পুষ্টিতে প্রভাব পড়েছে। এ সময় তাঁরা মাছ-মাংস কম খেয়ে ডাল ও ভাত খেয়ে পুষ্টির চাহিদা মিটিয়েছেন।