২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ইয়াং গ্লোবাল লিডার্সের তালিকায় সামিট গ্রুপের আজিজা খান

সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খানছবি: সামিট গ্রুপের সৌজন্যে

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইয়াং গ্লোবাল লিডার্সের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সামিট গ্রুপের পরিচালক আজিজা আজিজ খান। তিনি সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের মেয়ে।

সম্প্রতি ডব্লিউইএফ ২০২৪ সালের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সারা বিশ্বের ৯০ জন ইয়াং গ্লোবাল লিডার্সের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ১১ জন। তাঁদের মধ্যে আজিজা আজিজ খান একজন।

প্রতিবছর রাজনীতি, ব্যবসা, শিক্ষা, গণমাধ্যম ও কলা শাখায় বিশেষ অর্জন ও অবদান রাখা তরুণদের নিয়ে এ তালিকা করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এ তালিকায় থাকতে হলে বয়স হতে হবে ৪০-এর কম। ২০২১ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার আগে ২০১৬ সালে এই স্বীকৃতি পান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

সামিট করপোরেশন আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজিজা আজিজ খান ফাইন্যান্স, টেকসই উন্নয়ন ও সমাজসেবা খাতের দূরদর্শী ও নবীন নেতৃত্ব হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০২৪ সালের ক্লাসে অংশ নেবেন।
ডব্লিউইএফের তালিকায় স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে আজিজা আজিজ খান বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০২৪ সালের ক্লাসে অংশ নিয়ে আমি জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করার জন্য উন্মুখ। আমার বরাবরই বিশ্বাস একসঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শ আদান-প্রদানের প্রাণশক্তির ওপর। সে জন্য আমি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে চাই।’

আজিজা আজিজ খানের পিতা সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান। মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’ চলতি মাসে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ৪১তম। ৬ এপ্রিল যখন এ তালিকা প্রকাশিত হয়, তখন আজিজ খানের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ডলার। ‘ফোর্বস’-এর ২০২২ সালের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আজিজ খানের অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে।

সামিট গ্রুপের ব্যবসার যাত্রা শুরু হয় ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে। পরে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসায় যুক্ত হয়ে বেশ ভালো করে প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায় তাদের দ্রুত অগ্রগতি হয়। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়।

সামিটের অধীন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের যত ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সে জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।

আজিজা আজিজ খান ছাড়া ডব্লিউইএফের ইয়াং গ্লোবাল লিডার্সের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়া থেকে আরও যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতের ভেদান্তের নন–এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রিয়া আগারওয়াল হেবার, ক্যাম্পাস ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা রিচা বাজপাই, জুবিল্যান্টের গ্রুপের যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্জুন ভারতীয়া, আরপি-সঞ্জীভ গোয়েঙ্কা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শাশ্বত গোয়েঙ্কা, পাকিস্তানের ফাতিমা ফার্টিলাইজার কোম্পানির পরিচালক আলী মুক্তার, ভারতের নায়কা ফ্যাশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অদ্বীতা নায়ের, অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকার, ডেক্সারিটি গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা শারদ ভিভেক সাগর, শ্রীলঙ্কা সরকারের মন্ত্রী জেভান কুমারাভেল থন্ডামান এবং নেপালের অভসর ইকুইটির চেয়ারম্যান লোকেশ টডি।