এবার মূলধনী ব্যয় কমানোর চিন্তা করছে আদানি
এবার আদানি গোষ্ঠী মূলধনী ব্যয় কমানোর কথা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারতীয় অনলাইন পত্রিকা মিন্ট সূত্রে এই খবর দিয়েছে তারা।
এ ছাড়া ঋণদাতাদের আশ্বস্ত করতে জামানত হিসেবে তাদের স্টক দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সেই সঙ্গে কিছু কোম্পানির মূলধনী ব্যয় হ্রাসের কথা ভাবছে তারা। তবে এ বিষয়ে রয়টার্স আদানি গোষ্ঠীর মন্তব্যের জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। দাপ্তরিক সময়ের বাইরে হওয়ায় তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
মূলধনী ব্যয় এমন ধরনের ব্যয়, যা দিয়ে কোনো কোম্পানি তার ভৌত সম্পদ, যেমন ভবন, সম্পত্তি, প্রযুক্তি, শিল্পকারখানা, সরঞ্জাম ও আরও অনেক কিছু সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ব্যবসার পেটেন্ট, লাইসেন্স ইত্যাদির মতো সম্পদ কেনায়ও তা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ মূলধনী ব্যয় কমার অর্থ হলো, ব্যবসা সম্প্রসারণের পথ বন্ধ হওয়া।
মিন্ট সূত্র রয়টার্স জানিয়েছে, আদানি গোষ্ঠী এখন এক বছর নয়, বরং কিছু কিছু ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির জন্য ১৬-১৮ মাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তারা আরও বলেছে, বাজারে স্বাভাবিকতা ফিরে এলে আদানি গোষ্ঠী প্রবৃদ্ধির স্বাভাবিক ধারায় ফিরে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ পাওয়া কঠিন হবে জেনে আদানি গোষ্ঠী এখন ভিন্ন পথ খুঁজবে। নিজেদের পুঞ্জীভূত পুঁজি, ইক্যুইটি বিনিয়োগ ও শেয়ারের প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এখন অর্থায়ন করবে তারা।
এ ছাড়া আদানি গোষ্ঠীর ভারতীয় ঋণদাতারা এখনো অত হার্ডলাইনে যায়নি। আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া ঋণের অব্যবহৃত অংশ ব্যবহারে বাধা নেই বলে জানিয়েছে তারা। আদানি গোষ্ঠী ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, এমন ভয় তাদের নেই।
ঝড়ের নাম হিনডেনবার্গ
গত ২৫ জানুয়ারি হিনডেনবার্গ নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ছোট একটি বিনিয়োগ কোম্পানি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। এ সময়ে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির বাজার মূলধন ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি কমেছে।
হিনডেনবার্গের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠী জালিয়াতি করে গত শেয়ারের দর কৃত্রিমভাবে বাড়িয়েছে। এই গোষ্ঠী কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বাড়িয়েছে। এভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।