মার্চে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতিতে যুক্তরাষ্ট্র
গত মার্চে রেকর্ড বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সরকারি নগদ প্রণোদনার কারণে বিদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা বাড়ায় ঘাটতি বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিএনবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কিছুদিন ধরে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ বাসিন্দা ১ হাজার ৪০০ ডলার করে চেক পাচ্ছেন এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হচ্ছে। ফলে, বিশ্বের অন্যান্য পণ্য ও সেবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্যহীনতা ৭ হাজার ৪৪০ কোটি ডলারে পৌঁছে গেছে। ১৯৯২ সালের পর যা সর্বোচ্চ। গত মাসে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৫০ কোটি।
বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চীনের সঙ্গে। ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার। এরপরেই আছে মেক্সিকো, দেশটির সঙ্গে ঘাটতি ৮৪০ কোটি ডলার।
অবশ্য মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি–রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। রপ্তানি বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে। তবে বিদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ায় রপ্তানির বাড়লেও আমদানি বেড়েছে আরও বেশি।
২৭ হাজার ৪৫০ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছে। ফলে ঘাটতি বেড়ে গেছে। ২০২১ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোগ্য পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে গৃহস্থালি পণ্য ও তৈরি পোশাক রয়েছে। এ ছাড়া শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও বেড়েছে।