বিপাকে এইচএসবিসি, শেয়ারের দর কমে ২৫ বছর আগের অবস্থানে
এশিয়ার শেয়ারবাজারে হু হু করে পড়ে গেছে এইচএসবিসির শেয়ারের দর। জালিয়াতির বিষয় জানার পর বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি ডলার স্থানান্তর করার অনুমতি দেয় এইচএসবিসি ব্যাংক— এমন তথ্য ফাঁসের পর আজ সোমবার হংকংয়ের পুঁজিবাজারে এইচএসবিসির শেয়ারের দর পড়ে ২৫ বছর আগের অবস্থানে চলে গেছে।
আজ সোমবার কোম্পানিটির শেয়ারের দর ৪ শতাংশ কমে ৩০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। জালিয়াতির এই ঘটনা ছাড়াও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এই ব্যাংকটি হংকংয়ের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও করোনা মহামারি সংক্রান্ত নানা ধরনের চাপের মুখে রয়েছে। এই বছরই শেয়ারটির দর কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। কোম্পানিটি লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভুক্ত। এইচএসবিসি সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত হলেও এর অর্ধেকেরও বেশি লাভ হংকংয়ের এশীয় আর্থিক কেন্দ্র থেকে আসে।
গতকাল রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক অর্থলগ্নিকারী ব্যাংক তার মার্কিন ব্যবসায়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ডলার হংকংয়ে এইচএসবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে এই স্থানান্তরের ঘটনা ঘটে।
গোপন নথির কথা জানিয়ে এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (ফিনসেন)। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এইচএসবিসি বলছে তারা সব সময় আইন মেনেই অর্থ স্থানান্তর করে।
তবে এই নথি ফাঁসের আগে থেকে নানামুখী চাপে ছিল এইচএসবিসি। যা কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য কমিয়ে দিচ্ছিল। আগস্টে কোম্পানিটি জানায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে তাদের কর পূর্ববর্তী মুনাফা ৬৫ শতাংশ কমেছে, অর্থাৎ প্রায় ৪৩০ কোটি ডলার। যা কিনা বিশ্লেষকদের আশঙ্কার চেয়েও অনেক বেশি। এ ছাড়া হংকংয়ে চীনের জাতীয় সুরক্ষা আইনকে সমর্থন করায় একটি রাজনৈতিক লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়ে ব্যাংকটি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়ই কোম্পানিটির ওপর খেপেছে।
এর মধ্যে সম্প্রতি এইচএসবিসি বৈশ্বিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের বড় ধরনের পুনর্গঠনের কাজ করছে। ৩৫ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।