২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফাইজারের কারখানায় বাইডেন

গত শুক্রবার মিশিগানে ফাইজারের টিকা তৈরির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ছবি: রয়টার্স

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তো করোনাকে হালকাভাবে নিয়ে পরিস্থিতিই জটিল করে ফেলেছেন। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি করোনা–আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে সে ভুল এখন শোধরাতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট বাইডেন প্রশাসন।

জুলাইয়ের শেষ নাগাদ ৩০ কোটি মার্কিন নাগরিককে টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে ফাইজার—এমনটা জেনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই চলে যান টিকা প্রস্তুত কোম্পানিটির কারখানায়। গত শুক্রবার মিশিগানে ফাইজারের টিকা তৈরির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন বাইডেন। তিনি পুরো কারখানা ঘুরে দেখেন। সেখানে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টকে জানান, শিগগিরই টিকা উৎপাদন দ্বিগুণ করতে পারবেন তাঁরা। এ সময় মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হোয়াটমার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন।

ফাইজারের পুরো কারখানা ঘুরে দেখেন বাইডেন।
ছবি: রয়টার্স

বাইডেন বলেন, ‘এই সংকট কবে শেষ হবে তা আমি বলতে পারব না। তবে আমি বলতে পারি যে তারিখটি এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’ এ সময় পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন কিনতে ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেন বাইডেন।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে প্রায় ১৭ লাখ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। বাইডেনের লক্ষ্য তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে করোনার টিকা প্রদানের। এ সময় ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা জানান, তিনি মনে করেন না যে ফাইজার ভ্যাকসিনের একটি ডোজই যথেষ্ট হবে। যদিও একক ডোজ আগে যতটা ভাবা হচ্ছিল তার চেয়েও বেশি কার্যকর বলে মনে হচ্ছে।

ফাইজারের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেন বাইডেন। পাস হলে এই অর্থের কিছু অংশ যাবে টিকা উৎপাদনে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্যও এ থেকে ব্যয় করা হবে।

সূত্র: সিবিএস নিউজ