করোনায় হওয়া ধনী দান করলেন ৬০০ কোটি ডলারের শেয়ার

এরিক ইউয়ান
ছবি: রয়টার্স

চীনা ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ান, কোম্পানিতে তাঁর অংশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শেয়ার দান করে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ইউয়ান এই ১ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার গ্রান্টার রিটেইনড অ্যানুয়েটি ট্রাস্ট বা জিআরএটিকে হস্তান্তর করেন। জিআরএটির একজন ট্রাস্টি এরিক ইউয়ান।

তবে কে এই শেয়ার গ্রহণ করলেন তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। জুমের এক মুখপাত্র জানান, ইউয়ান ও তাঁর স্ত্রীর গঠিত ট্রাস্টের নীতির আলোকেই এ স্থানান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরকৃত ওই শেয়ারগুলোর মূল্য ৬০০ কোটি ডলারের বেশি।
করোনার সময় হোম অফিসের কারণে প্রতিটি স্থানে জুম একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্থান করে নেয়। আকাশ ছোঁয়া চাহিদা বেড়েছে জুমে। ফলে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে বাজারদর, যা ইউয়ানকে নিয়ে এসেছে অন্যতম ধনীর কাতারে। গত বছর জুমের শেয়ার মূল্য বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। অবশ্য নতুন বছরে তা কিছুটা কমেছে। ২০২১ সালের প্রথম দুই মাসে জুমের শেয়ার মূল্য কমেছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী এই লেনদেনের আগপর্যন্ত বিশ্বের ১৩০তম ধনী হলেন ৫১ বছর বয়সী এরিক ইউয়ান। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫১০ কোটি ডলার। গত বছরের মার্চ থেকেই যা বেড়েছে ৯২০ কোটি ডলার। সেই হিসেবে বলা যায় করোনার মাঝেই ধনী হয়েছেন এরিক ইউয়ান।

জুম প্রতিষ্ঠার আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় সিসকো ওয়েবেক্সে (সিসকোর ভিডিও কনফারেন্স শাখা) চাকরি করতেন চীনা বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদ এরিক ইউয়ান। ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে ‘সাসবি’ নামের একটি ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম তৈরি করে বাজারজাত করার চেষ্টা করেন তিনি। এরিক ইউয়ান প্রথমে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও পরের বছর নাম পাল্টে ও পুরোনো কর্মস্থল সিসকোর কর্মকর্তাদের সহায়তায় আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ‘জুম ভিডিও কমিউনিকেশনস’ নামে কাজ শুরু করেন।

বর্তমানে এই কোম্পানির কর্মীসংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর ব্যবহারকারী দাঁড়ায় ২২ লাখ। করোনা পরিস্থিতিতে হোম অফিস ও আন্তযোগাযোগের ব্যাপকতার ফলে এপ্রিল মাসে এর দৈনিক ব্যবহারকারী বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০ কোটিতে।