করোনার মধ্যেও এত আইফোন কিনেছে মানুষ
করোনার এই সময়েও বিক্রিতে রেকর্ড করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। বিদায়ী বছরের শেষ তিন মাসে অ্যাপলের বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের, যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। মূলত বড়দিন উপলক্ষে ব্যাপক বিক্রি হয় অ্যাপলের নতুন ফোন, ল্যাপটপ। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে আইফোন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনার এই কালে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর পোয়াবারো হয়েছে। অনলাইন কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় প্রযুক্তি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের প্রায় ১৬৫ কোটি ডিভাইস সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটিই হচ্ছে আইফোন। গত বছরের অক্টোবরে নতুন আইফোন-১২ আনে অ্যাপল। কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, রেকর্ডসংখ্যক মানুষ পুরোনো আইফোন পাল্টে নতুন এই মডেল নিয়েছে। নতুন ৫–জি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই চাহিদা ব্যাপক এই মডেলের।
সংস্থাটি বলেছে, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে চীনে। কারণ, মহামারির ধাক্কা সবার আগে চীনই কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। হংকং, তাইওয়ান ও চীনে বিক্রি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। ইউরোপে ১৭ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ শতাংশ।
অ্যাপলসের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার লুকা মায়েস্ট্রি বলেছিলেন, ‘পণ্যগুলো বিশ্বজুড়ে খুব ভালো করছে। আমরা জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকের জন্যও খুব আশাবাদী।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মহামারির মধ্যে ব্যতিক্রমী লাভ করছে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো। মাত্র তিন মাসে অ্যাপলের এই রেকর্ড বিক্রি অবাক করা। গত বছরের তুলনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের চাহিদাও ভালো। অন্যান্য সংস্থাগুলো যেখানে টিকে থাকার জন্য লড়াই করেছে, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সেখানে ফুলেফেঁপে উঠছে। আইফোন বিক্রি বাড়ার ক্ষেত্রে অবশ্য আরেকটি বিষয় কাজ করেছে। মনে হচ্ছে আইফোন উত্সাহীরা নতুন ৫–জি সক্ষম আইফোন-১২–এর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।