কেন কিছু জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলারে উঠবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা অব্যাহত রয়েছে। তবে এর মধ্যেই কিছু অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ান ক্রুড কুয়া আইবোয়ের দাম সোমবার ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মালয়েশিয়ার অপরিশোধিত তেল তাপিসের দামও গত সপ্তাহে ১০১ দশমিক ৩০ ডলারে উঠেছে। বৈশ্বিক আর্থিক বাজারের তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এলএসইজি ও সুইডেনের ব্যাংক এসইবির সূত্রে রয়টার্স এই তথ্য পেয়েছে।
সৌদি আরব ও রাশিয়া উৎপাদন হ্রাসের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে ইতিমধ্যে তেলের দাম চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে এরাই তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। সেই সঙ্গে তেল উৎপাদনকারী অন্যান্য দেশও তেলের সরবরাহ কমাচ্ছে।
এসইবির বিশ্লেষক বিয়ন শিয়েলড্রপ বলেন, সৌদি আরব ও রাশিয়া এখন কঠোরভাবে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববাজারের তেলের মানদণ্ড হিসেবে পরিচিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৯৫ দশমিক শূন্য ৩ ডলার। এ ছাড়া বিশ্বের অধিকাংশ তেলের দাম যে মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, অর্থাৎ সেই ডেটেড ব্রেন্টের (উত্তর সাগরে উৎপাদিত যেসব তেলের কার্গো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে হয়) দাম ৯৬ ডলারে উঠে গেছে।
ডেটেড ব্রেন্টের দামের সঙ্গে প্রিমিয়ামের পার্থক্যের ভিত্তিতে কুয়া আইবোয়ের দাম নির্ধারিত হয়। তাতে কুয়াসহ আরও কয়েকটি অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
শিয়েলড্রপ বলেন, ডেটেড ব্রেন্টের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেবল আওয়াজ পেলেই এই তেলের দাম বেড়ে যায়। ফলে ব্রেন্ট ক্রুডের দামও ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে সুইস ব্যাংক ইউবিএস।
ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাওনোভো রয়টার্সকে বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯০ থেকে ১০০ ডলারে ওঠানামা করবে, বছরের শেষ নাগাদ লক্ষ্য হচ্ছে ৯৫ ডলার।