১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাব থেকে বাদ পড়লেন আদানি ও আম্বানি

গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিছবি: রয়টার্স

সময়টা খারাপ যাচ্ছে ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির। একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার জেরে সম্পদের মূল্য কমছে আদানির। একই সঙ্গে আরেক ভারতীয় শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানিরও সম্পদের মূল্য কমেছে।

এই পরিস্থিতিতে বছরের শেষ ভাগে এসে ব্লুমবার্গ ১০০ বিলিয়ন ক্লাব থেকে বাদ পড়েছেন বিশ্বের ও ভারতের এই শীর্ষ দুই ধনী। তবে সামগ্রিকভাবে চলতি বছর ভারতের ধনীদের সম্পদ বেড়েছে। খবর লাইভ মিন্ট

গৌতম আদানির পাশাপাশি মুকেশ আম্বানিরও সম্পদের মূল্য কমেছে। চলতি বছর মুকেশ আম্বানির জ্বালানি ও খুচরা ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঋণ। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত। জুলাইয়ে মুকেশ আম্বানির সম্পদের মূল্য ১২০ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৮০ কোটি ডলার হলেও এখন তা কমে ৯৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

অন্যদিকে গৌতম আদানির বিপদের অন্ত নেই। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তদন্তের আওতায় আছেন। এ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং যেকোনো সময় তাঁর সম্পদ জব্দ করা হতে পারে। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতের রায়ের জেরে গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য অনেকটাই কমেছে। জুনে যেখানে গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য ছিল ১২২ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ২৩০ কোটি ডলার; এখন তা কমে ৮২ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ২১০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। উভয়ের সম্পদের হিসাব ১৩ ডিসেম্বরের।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনেও আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে সম্পদের মূল্য কমে যায় গৌতম আদানির। এরপর যখন তিনি ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়ের জেরে বড় ধরনের সংকটে পড়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের দুই শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি ব্লুমবার্গের অভিজাত এলিট সেন্টিবিলিয়নিয়ার্স ক্লাব থেকে বাদ পড়েছেন। এই ক্লাবে তাঁরাই স্থান পান, যাঁদের সম্পদের মূল্য ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

এদিকে ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের বাজারে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্টারলিংক প্রবেশ করলে মুকেশ আম্বানির ইন্টারনেট ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

এদিকে ব্লুমবার্গের ধনী পরিবারের তালিকায় শীর্ষে আছেন ওয়ালমার্টের স্বত্বাধিকারী ওয়ালটন পরিবার। এই পরিবারের সম্মিলিত সম্পদের মূল্য ৪৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৪৩ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। ওয়ালটন পরিবারের সম্পদের মূল্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজ পরিবারের চেয়ে বেশি।

ধনী পরিবারের তালিকায় ভারতের আম্বানি ও শাপুরজি পরিবার আছে যথাক্রমে অষ্টম ও ২৩তম স্থানে।