আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে আরও সময় চাইল ভারতীয় সংস্থা
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আদানিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে ভারতের শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)’। তবে এই তদন্ত সম্পূর্ণ করতে শীর্ষ আদালতের কাছে আরও ছয় মাস সময় চেয়েছে সেবি।
ইকোনমিক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, আগামী ২ মে এই তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল সেবির। ঠিক তার আগেই সময় বাড়ানোর আবেদন করল তারা।
আইনি সংস্থা কে জে জন অ্যান্ড কোম্পানির মারফত এই আবেদন করেছে সেবি। আবেদনে তারা বলেছে, হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে স্টক জালিয়াতি ও হিসাবরক্ষণ জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো তদন্ত করার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাই এই সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে যুক্তরাষ্ট্রের শর্টসেলার হিনডেনবার্গ রিসার্চ। এর জেরে গত ২ মার্চ এসব অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তও শুরু করেছিল সেবি। তাদের কাছে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবি এখন বলছে, আরও সময় প্রয়োজন।
সেবির বক্তব্য, এ বিষয়টি এতই জটিল যে মাত্র দুই মাসের মধ্যে এর তদন্ত সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। আরও কিছুটা সময় দরকার। তারা বলেছে, ‘অধিকাংশ তদন্তে দেখা যায়, তদন্তে যত তথ্য পাওয়া যায়, সেখান থেকে আরও নতুন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ, কারণ এত বেশি তথ্যের সমাহার একধরনের জালের মতো সৃষ্টি করে।’
সেবি আরও বলেছে, হিনডেনবার্গের অভিযোগ খুবই জটিল প্রকৃতির এবং এতে অনেক ছোট ছোট লেনদেনের বিষয় আছে। ভালোভাবে তদন্ত করতে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। সেই সঙ্গে আছে কোম্পানির পেশ করা তথ্য ও বক্তব্য খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা। সে জন্য দেশি–বিদেশি ব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
ইকোনমিক টাইমসের আগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সেবি তাদের তদন্তের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ আদালতে তারা আদানি গোষ্ঠীর সম্ভাব্য ত্রুটিগুলোর তালিকাও প্রকাশ করেছে।
এদিকে আদানি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সেবিকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করছি এবং ভবিষ্যতেও তা বজায় থাকবে।’ তারা আরও বলেছে, ‘সেবি যে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছে, তাতে আমাদের বিরুদ্ধে ভুল কিছু করার কথা নেই। সেবির আবেদনে কেবল হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি আছে।’