বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি কম, লেনদেনে খরা
ঈদের ছুটির পরও দরপতনের ধারা থেকে বের হতে পারল না শেয়ারবাজার। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি মিলিয়ে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৩ পয়েন্ট কমেছে। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি এদিন ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে।
বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, লেনদেন চালু হলেও ছুটির আমেজ এখনো কাটেনি। কারণ, এক দিন লেনদেনের পর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা ফেরেননি। বিশেষ করে যাঁরা ঈদ উদ্যাপনের জন্য গ্রামে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ঢাকায় ফেরেননি। ফলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী জানান, বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল হাতে গোনা। ঈদের ছুটির আমেজ কাটিয়ে রোববার থেকে শেয়ারবাজারের লেনদেন স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে বলে ধারণা তাঁদের।
জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। এমনকি ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল অর্ধেকের কম। আবার শেয়ারের দামও খুব বেশি বাড়েনি। এসব কারণে বাজারে লেনদেন কম হয়েছে। আশা করছি, আগামী রোববার থেকে বাজার আবার স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে।’
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬৯ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৪০১ কোটি টাকা কম। দিন শেষে এ বাজারের প্রধান সূচকটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে। আর সিএসইতে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি টাকা কম।
এদিকে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের (কেনাবেচা মিলিয়ে) প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে মোবাইলের মাধ্যমে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গতকালের লেনদেনে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের বড় একটি অংশ বাসা বা বাড়ি থেকে মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেনে অংশ নেন। স্বাভাবিক সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ মোবাইলের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়ে থাকে।